
মুক্তোর মতো চকচকে যাদের দাঁত, তারা সমাজের উচ্চ আসনে থাকবেন
দাঁত সৌন্দর্যের প্রতীক। মানুষের দাঁতের গঠন নানা প্রকার হয়। এক এক জনের দাঁতের গঠন একেক রকমের। কারও দাঁত সুসজ্জিত, আবার কারও দাঁত উঁচু-নিচু বা ছোট-বড়।
জ্যোতিষশাস্ত্রে মানুষের দাঁতের বিভিন্ন ধরনের গঠনের নানা ব্যাখ্যা আছে। দাঁতের গঠন মানুষের ভাগ্য নির্দেশ করতে পারে। এমনকি দাঁত দেখে সঙ্গীর চরিত্রও চেনা যেতে পারে!
১. উঁচু-নিচু দাঁত: যাদের দাঁত সুগঠিত নয়, অর্থাৎ উঁচুনিচু বা ছোট হয়, তাদের জীবনে কর্ম, অর্থ, মোক্ষ এবং সুনাম, যশ ও প্রতিষ্ঠা পেতে প্রচুর সংগ্রাম চালাতে হয়। পারিবারিক ও পারিপার্শ্বিক চাপ বহন করতে হয়। তাদের দাম্পত্য জীনব খারাপ-ভালো মিশিয়ে চলে। কিন্তু তাদের সন্তানদের ভাগ্য খুব ভালো হয়। সন্তানের দ্বারা মুখ উজ্জ্বল হওয়ার সম্ভবনা থাকে প্রবল।
২. ফাঁকা দাঁত: যাদের দাঁত ফাঁকা হয়, তাদের জীবন কোনো না কোনোভাবে কলুষিত হতে পারে। কথায় ও কাজে মিল না থাকায় জীবনে বার বার ঠকতে হতে পারে। তারা একটু দুঃসাহসী প্রকৃতির হয়ে থাকেন।
৩. সুগঠিত বা সুসজ্জিত দাঁত: যাদের দাঁত সুগঠিত এবং সমান, তাদের ভাগ্য খুব ভালো। সুন্দর দাঁত বিশিষ্ট নর-নারীর জীবনে সৃষ্টিকর্তার কৃপা সর্বদা বজায় থাকে। তাদের জীবনে দুঃখ-কষ্ট কম থাকে এবং দশ জনের এক জন হতে দেখা যায়।
৪. সুসজ্জিত উজ্জ্বল বর্ণের দাঁত: যাদের দাঁত সাজানো ও উজ্জ্বল বর্ণের হয়, অর্থাৎ দাঁতে কোনো প্রকার দাগ নেই, ফাঁকা নেই এবং মুক্তোর মতো চকচকে তারা সমাজের উচ্চ আসনে থাকবেন এবং সম্মানিত হবেন। এতে কোনো সন্দেহ নেই। তারা প্রচুর ধন-সম্পত্তির মালিক হন।
৫. হলুদ আভাযুক্ত দাঁত: যাদের হালকা হলুদ আভাযুক্ত দাঁত আছে, তাদের জীবনে চাওয়া-পাওয়া এবং খাওয়ার প্রবণতা বেশি। তারা অল্পতে সন্তুষ্ট থাকতে পারেন না। তবে তারা জীবনে শূন্য জায়গা থেকে প্রতিষ্ঠিত হতে সক্ষম হোন। তাদের দাম্পত্য জীবন মাঝামাঝি। এরা একটু স্বার্থ নিয়ে চলতে পছন্দ করে এবং অহংকারী মানসিকতার হয়ে থাকে।
এমএইচ