ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

লিগাল নোটিশ কীভাবে পাঠাবেন? আইনজীবীর পরামর্শ

প্রকাশিত: ২৩:৩১, ১৩ জুন ২০২৫

লিগাল নোটিশ কীভাবে পাঠাবেন? আইনজীবীর পরামর্শ

ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে আইনি সহায়তা ও সচেতনতা প্রদানে এডভোকেট মোহাম্মদ জাকির হোসাইন সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় লিগাল নোটিস নিয়ে বিশদ ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

তিনি জানান, "অনেকেই জানতে চান, লিগাল নোটিস কীভাবে লিখতে হয়? এটি মামলা আকারে হয়, নাকি একটি সাধারণ আবেদন আকারে? এমন প্রশ্ন আসে প্রায়শই। আসলে, লিগাল নোটিস লেখার দায়িত্ব একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর। এটি সাধারণ কোনো কাগজ নয়; এটি আইনজীবীর অফিসিয়াল প্যাডে লেখা হয়।"

এডভোকেট জাকির হোসাইন একটি নিজস্ব প্রস্তুতকৃত লিগাল নোটিসের ড্রাফট দেখিয়ে বলেন, “এই নোটিসে প্রেরক, প্রাপক ও মাধ্যম—তিনটি পক্ষ থাকে। যেমন, ক্লায়েন্ট প্রেরক, আমি নিজে আইনজীবী হিসেবে মাধ্যম, আর যাকে পাঠানো হচ্ছে সে হলো প্রাপক। এই অংশটি নোটিশদাতা ও নোটিশগ্রহীতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।”

তিনি আরও বলেন, "নোটিসে অপরাধের বিবরণ, আইনগত দাবির ব্যাখ্যা এবং প্রয়োজনীয় রেমেডিগুলো উল্লেখ করতে হয়। তবে কেবল লেখা নয়, এই নোটিসটি পাঠানোর একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিও আছে।"

লিগাল নোটিস পাঠানোর পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি জানান, “নোটিসটি খামে ভরে ডাকযোগে পাঠাতে হয়, সাথে একটি প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Acknowledgement Slip) রাখতে হয়। এটি স্বাক্ষর করে ফেরত দিলে প্রমাণ হয়, নোটিস গ্রহীতা সেটি পেয়েছে।”

তিনি সতর্ক করে বলেন, “যদি প্রাপকের কাছ থেকে নির্ধারিত সময়ের (যেমন ১৫ বা ৩০ দিন) মধ্যে কোনো জবাব না আসে, বা যদি দাবিকৃত সমাধান না আসে, তাহলে এই নোটিস ও প্রাপ্তি স্বীকারপত্র আদালতে দাখিল করে মামলা করা যায়।”

তিনি আরো জানান, “লিগাল নোটিস পাঠানোর পরেও যদি কোনো আইনি জটিলতা তৈরি হয়, সাধারণ জনগণ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। আমরা সাহায্য করতে প্রস্তুত।”


 

মারিয়া

×