ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৪ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২

৫৩ কোটি ডলার না মিললে আরও হাজারো শিশু মারা যাবে—বাঁচাতে হবে আফগানিস্তানকে!

প্রকাশিত: ১৯:০৪, ৪ আগস্ট ২০২৫; আপডেট: ১৯:০৪, ৪ আগস্ট ২০২৫

৫৩ কোটি ডলার না মিললে আরও হাজারো শিশু মারা যাবে—বাঁচাতে হবে আফগানিস্তানকে!

ছবি: সংগৃহীত

আফগানিস্তানে শিশু অপুষ্টির হার রেকর্ড মাত্রায় বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। সোমবার সংস্থাটি জানিয়েছে, দেশটির সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলোকে সহায়তা করতে তাদের ৫৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার অর্থ সহায়তা প্রয়োজন।

আফগানিস্তানের মোট জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ—প্রায় ১ কোটি মানুষ—তীব্র খাদ্য অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। প্রতি তিনটি শিশুর মধ্যে একজন অপুষ্টিজনিত কারণে শারীরিকভাবে খর্বাকৃতি হয়ে পড়েছে।

ডব্লিউএফপি জানায়, শিশু অপুষ্টির এই ভয়াবহ বৃদ্ধির পেছনে গত দুই বছরে জরুরি খাদ্য সহায়তার ঘাটতি অন্যতম প্রধান কারণ। এই ঘাটতির মূল কারণ হচ্ছে আন্তর্জাতিক দাতাদের সহায়তা হ্রাস পাওয়া। এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন আফগানিস্তানে খাদ্য সহায়তা পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়—যা বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র এই দেশের জন্য ছিল একটি বড় ধাক্কা।

গত বছর ডব্লিউএফপির মোট ৯.৮ বিলিয়ন ডলারের অনুদানের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একাই দিয়েছিল ৪.৫ বিলিয়ন ডলার, যা ছিল সর্বোচ্চ। আগের মার্কিন প্রশাসনগুলো খাদ্য সহায়তাকে জাতীয় নিরাপত্তার অংশ হিসেবে বিবেচনা করত, কারণ তা সংঘাত, দারিদ্র্য, চরমপন্থা এবং অভিবাসন রোধে সহায়ক ছিল।

আফগানিস্তানে খাদ্য সংকট আরও বেড়েছে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে ব্যাপকসংখ্যক মানুষ ফেরত আসার কারণে, যেসব দেশ অবৈধ অভিবাসীদের তাদের ভূখণ্ড থেকে ফেরত পাঠাচ্ছে।

ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, গত দুই মাসে তারা ইরান থেকে ফেরত আসা ৬০ হাজার আফগানকে সহায়তা দিয়েছে, যা বাস্তব পরিস্থিতির তুলনায় সামান্যই।

ডব্লিউএফপির যোগাযোগ কর্মকর্তা জিয়াউদ্দিন সাফি বলেন, “আমাদের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় আমরা এখনই ইরান ফেরত প্রত্যেককে সহায়তা দিতে পারছি না। এর জন্য আমাদের ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার প্রয়োজন।” তিনি আরও বলেন, “২০২৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত আফগানিস্তানের ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলোর জন্য আমাদের মোট ৫৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার প্রয়োজন।”

জলবায়ু পরিবর্তনও আফগান জনগণের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকাগুলোর মানুষের ওপর।

আফগানিস্তানের জাতীয় পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার প্রধান মতিউল্লাহ খালিস গত সপ্তাহে জানান, খরা, পানির সংকট, চাষযোগ্য জমি হ্রাস এবং আকস্মিক বন্যার কারণে মানুষের জীবন ও অর্থনীতিতে ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে।

আবির

×