
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লন্ডনের মেয়র সাদিক খানকে ফের আক্রমণ শানালেন। সাদিককে ‘অভদ্র লোক’ বলে কটাক্ষ করেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথায় দৃশ্যত কিছুটা বিব্রত হয়ে পড়েন স্টারমার। ট্রাম্পকে থামানোর জন্য সাদিককে নিজের বন্ধু বলেও ব্যাখ্যা করেন তিনি। কিন্তু তাতে ট্রাম্পের মুখ বন্ধ করাতে পারেননি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
লন্ডনের মেয়র সাদিকের সঙ্গে ট্রাম্পের সংঘাত দীর্ঘ দিনের। ট্রাম্প যখন প্রথম বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হন, তখন থেকেই এই দ্বন্দ্ব চলছে দু’জনের। ওই সময় নির্দিষ্ট কিছু মুসলিম রাষ্ট্রের নাগরিকদের উপর আমেরিকায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি হলে, তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন সাদিক। ট্রাম্পও তাঁকে খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, “ও একজন হেরে যাওয়া ব্যক্তি।” সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও তাঁর ভূমিকার সমালোচনা করেছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার আগে গত বছরের নভেম্বরে একটি পডকাস্টে এ বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন সাদিক। লন্ডনের মেয়র সেখানে দাবি করেছিলেন, তাঁর ধর্ম এবং বর্ণের জন্যই ট্রাম্প তাঁকে নিশানা করছেন।
ট্রাম্প দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেও যে সাদিকের সঙ্গে তাঁর সংঘাত মেটেনি, তা বুঝিয়ে দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। এ বার স্টারমারের সামনেই লন্ডনের মেয়রের বিরুদ্ধে সরব হলেন তিনি। চার দিনের সফরে স্কটল্যান্ডে গিয়েছেন ট্রাম্প। সোমবার সেখানেই নিজের বিলাসবহুল গল্ফ রিসর্টে স্টারমারের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পরে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীকে পাশে নিয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠকেও বসেন ট্রাম্প। আগামী সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প লন্ডন সফরে যাচ্ছেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, “আমি আপনাদের মেয়রের ভক্ত নই। আমার মতে, তিনি খুব খারাপ কাজ করেছেন। লন্ডনের মেয়র একজন অভদ্র মানুষ।”
ট্রাম্পকে থামাতে তাঁর কথার মাঝখানেই মুখ খোলেন স্টারমার। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আসলে তিনি (সাদিক) আমার খুব ভাল বন্ধু।” কিন্তু তাতে দমানো যায়নি ট্রাম্পকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবার বলেন, “আমি মনে করি, তিনি (সাদিক) খুব খারাপ কাজ করেছেন। কিন্তু আমি নিশ্চয়ই লন্ডনে যাব।”
আমেরিকার প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যের পর পাল্টা মুখ খুলেছেন লন্ডনের মেয়র সাদিকও। তাঁর এক মুখপাত্র জানান, ট্রাম্প যে বিশ্বের সেরা শহরে আসতে চেয়েছেন, তাতে আপ্লুত সাদিক। তিনি আরও বলেন, “এখানে এলে তিনি (ট্রাম্প) বুঝতে পারবেন, বৈচিত্র আমাদের দুর্বল নয়, আরও শক্তিশালী করে। আরও ধনী করে। হয়তো সেই কারণেই তাঁর আমলে সবচেয়ে বেশি আমেরিকান ব্রিটিশ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন।”
ফুয়াদ