ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

ইরানের নতুন আইন - ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ১৭:১৬, ১ জুলাই ২০২৫

ইরানের নতুন আইন - ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড

ইরানের সংসদ (পার্লামেন্ট) একটি নতুন আইন পাস করেছে, যেখানে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র বা অন্যান্য "শত্রু গোষ্ঠী"-র সঙ্গে সহযোগিতাকে মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। একই সঙ্গে, ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ এড়িয়ে যাওয়ার জন্য স্টারলিংকসহ যেকোনো অননুমোদিত টুল ব্যবহারের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

এই আইন অনুসারে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা “পৃথিবীতে দুর্নীতি ছড়ানো (corruption on earth)” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। বিশেষভাবে ইসরায়েলের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, যারা ইসরায়েলকে সামরিক, আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ভোগ করতে হবে।

ইরানের সংবাদ মাধ্যম ২৯ জুন এই তথ্য জানান। 

আইনে বলা হয়েছে, “ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র বা অন্যান্য শত্রু সরকার ও গোষ্ঠী, অথবা তাদের এজেন্টদের পক্ষে গোয়েন্দা, গুপ্তচরবৃত্তি, বা কোনো অপারেশন চালানো দেশের নিরাপত্তা বা জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং তা ‘পৃথিবীতে দুর্নীতি’ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ হবে।”

আইনের তৃতীয় অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সামরিক বা ধ্বংসাত্মক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য ড্রোন তৈরি, স্থানান্তর বা আমদানি করাও মৃত্যুদণ্ডের আওতায় পড়বে। এর সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সাইবার হামলা, যোগাযোগ নেটওয়ার্কে বিঘ্ন, এবং সরকারি বা বেসরকারি স্থাপনায় ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড।

এছাড়া, কারো সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ না করলেও, কেউ যদি গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করে—তা জেনেও—তবে তা-ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।

রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, গণমাধ্যম বা প্রচারণামূলক এমন যেকোনো কাজ যা জনমনে ভয়, বিভাজন সৃষ্টি করে বা জাতীয় নিরাপত্তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, তার জন্য ১০ থেকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে।

“শত্রু বিদেশি নেটওয়ার্ক”-এর সঙ্গে তথ্য বা কনটেন্ট শেয়ার করে মনোবল দুর্বল করা বা জাতিগত বিভাজন তৈরির অপরাধে ২ থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ড হবে।

যুদ্ধকালীন অবৈধ বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করলে ৫ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড হবে।

স্টারলিংকসহ যেকোনো অননুমোদিত ইন্টারনেট যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে ৬ মাস থেকে ২ বছরের কারাদণ্ড হবে। তবে যদি কেউ ১০টির বেশি স্টারলিংক ডিভাইস আমদানি করে এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্রের বিরোধিতার উদ্দেশ্য থাকে, তবে তার জন্য ৫ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। 

সূত্র - https://www.iranintl.com/en/202506291255  

 

 

সানজানা

আরো পড়ুন  

×