
ছবি: সংগৃহীত।
ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি জানাল ইসরায়েল। তবে স্পষ্ট করে দিয়েছে—যেকোনো ধরণের লঙ্ঘনের জবাব হবে কঠোর ও নির্দয়। এমন সতর্ক বার্তা এসেছে দেশটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা মহল থেকে। খবর প্রকাশ করেছে দ্য টাইমস অব ইসরায়েল।
ইসরায়েল সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইরানের সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তবে এই বিরতির শর্ত ভঙ্গ হলেই ‘উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া’ জানানো হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতি দেওয়া হয়। এতে জানানো হয়, তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী, আইডিএফ (ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স), গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ও নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে।
বৈঠকে নেতানিয়াহুকে জানানো হয়, "অপারেশন রাইজিং লায়ন" নামের সামরিক অভিযানের মাধ্যমে ইসরায়েল তার কাঙ্ক্ষিত কৌশলগত লক্ষ্যসমূহ পূরণ করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র থেকে আসা তাৎক্ষণিক হুমকি কার্যকরভাবে প্রতিহত করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো জানানো হয় যে, ইরানের একজন জ্যেষ্ঠ পারমাণবিক বিজ্ঞানী ইসরায়েলি অভিযানে নিহত হয়েছেন।
এছাড়া তেহরানের কেন্দ্রস্থলে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে একাধিক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এতে বলা হয়, শাসকগোষ্ঠীর শত শত 'নিপীড়নকারী' সদস্য ও আরেকজন জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানীকেও হত্যা করা হয়েছে।
ইসরায়েল এই অভিযানে সমর্থনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, বিশেষ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। তারা জানায়, ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমেই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
তবে বিবৃতির শেষাংশে আবারও স্পষ্ট করে বলা হয়—যেকোনো ধরণের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন হলে ইসরায়েল কঠোর জবাব দিতে দ্বিধা করবে না।
নুসরাত