
ছবি: সংগৃহীত
মাত্র এক মাস আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে ইরান তার নতুন মাঝারি পাল্লার ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘কাসিম বশির’ প্রকাশ্যে এনেছিল। শুক্রবার গভীর রাতে ওই উন্নততর ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেই ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেল আবিবে সফল হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রায় ১,৫০০ কিলোমিটার পাল্লার কঠিন জ্বালানি-চালিত এই ক্ষেপণাস্ত্রটি গত মে মাসে ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পসের (IRGC) বিমান শাখার হাতে তুলে দেন ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ। এটি হজ কাসিম নামক পুরোনো ক্ষেপণাস্ত্রেরই উন্নত সংস্করণ। ক্ষেপণাস্ত্রটি উন্মোচনের সময়ই আজিজ দাবি করেছিলেন, এটি ইসরায়েলের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ভেদ করতে সক্ষম।
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি সীমান্ত না থাকায়, ইরাক, সিরিয়া ও জর্ডানের আকাশসীমা পেরিয়ে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েল পর্যন্ত পৌঁছায়। সাধারণত মার্কিন বাহিনী ইরাক থেকে এমন হামলার আগাম বার্তা ইসরায়েলকে জানিয়ে দেয় এবং ‘ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র’ দিয়ে সেগুলো ভূপাতিত করা হয়।
ইসরায়েলের কাছে রয়েছে আয়রন ডোম, ডেভিডস স্লিং ও আমেরিকান 'থাড'— বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এসব প্রতিরক্ষা বলয় তিন স্তরে কাজ করে: রাডার দিয়ে টার্গেট শনাক্ত, তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া এবং প্রতিপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা।
আসিফ