
ভারতের আহমেদাবাদে আবাসিক এলাকায় ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর ধ্বংসস্তূপ থেকে এখন পর্যন্ত ২৭৯টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। এর আগে নিহতের সংখ্যা ২৬৫ বলে জানানো হয়েছিল।
এই হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনার পর গোটা দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আহমেদাবাদ শহরের এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, চূড়ান্ত মৃতের সংখ্যা এখনও নির্ধারিত হয়নি। কারণ, অধিকাংশ মরদেহ এতটাই বিকৃত যে শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
এরই মধ্যে নিহতদের স্বজনদের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের কাজ চলছে। শনিবার সকাল থেকে ফের শুরু হয়েছে নমুনা সংগ্রহ। ২৫০ জনের বেশি স্বজনের নমুনা ইতোমধ্যেই সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।
বিমানটি কেন এবং কীভাবে ভেঙে পড়ল, তা নিয়ে চলছে জোরালো তদন্ত। দুর্ঘটনার পর থেকেই ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় তৎপর হয়ে উঠেছে। শনিবার জরুরি নিরাপত্তা বৈঠক ডেকেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী রাম মোহন নাইডু কিনজারাপু। এই বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন বিমান চলাচল সচিব, ডিজিসিএ প্রধান, এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
দুর্ঘটনার পরে আহমেদাবাদের মর্গে দীর্ঘ সারি, কান্নারত স্বজনদের মুখ, আর ডিএনএ পরীক্ষার অপেক্ষায় থাকা পরিবারগুলো যেন আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে একটি বিমানের পতন কেবল যন্ত্রাংশের ধ্বংস নয়, শত শত জীবনের নিভে যাওয়া।
আহতদের চিকিৎসা চলছে বিভিন্ন হাসপাতালে। আর নিহতদের পরিবার যেন অপেক্ষা করছে একটি উত্তর, একটি নিশ্চিত পরিচয়, শেষবারের মতো প্রিয়জনকে বিদায় জানানোর সুযোগের জন্য।
সবার চোখ এখন তদন্ত প্রতিবেদন এবং সরকারের সিদ্ধান্তের দিকে। তবে আপাতত, গোটা দেশ যেন একসঙ্গে শোক করছে সেই সব প্রাণের জন্য, যারা ওই বিমানে ছিলেন, আর কখনও ঘরে ফিরবেন না।
সূত্র:https://tinyurl.com/yj23wtx3
আফরোজা