
ছবি: সংগৃহীত
অপারেশন সিঁদুর এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অটল অবস্থান ব্যাখ্যা করতে ৩৩টি দেশে যে সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল যাচ্ছে, তাদের জন্য আয়োজিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে মূল ফোকাস ছিল যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য এবং চীনের অবস্থানে পরিবর্তনের দিকে।
আজ তিনটি প্রতিনিধিদলকে ব্রিফ করা হয়েছে—যেগুলোর নেতৃত্বে আছেন সঞ্জয় ঝা, কানিমোঝি ও শ্রীকান্ত শিন্ডে। বুধবার আরও চারটি দলকে ব্রিফ করা হবে। সাতটি দলের মধ্যে প্রথম দলটি কাল থেকে সফর শুরু করবে।
সূত্র জানিয়েছে, প্রতিনিধিদের জানানো হয়—১০ মে ইসলামাবাদ থেকেই প্রথম যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল।
সকাল ১১টার দিকে পাকিস্তানের ডিজিএমও (ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস) ভারতীয় পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তখন হটলাইন কাজ করছিল না। এরপর পাকিস্তান হাই কমিশন থেকে বার্তা পাঠানো হয় যে, তাদের ডিজিএমও কথা বলতে চান।
পরে যোগাযোগ স্থাপন হলেও দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটের মধ্যে কথোপকথন সম্ভব হয়নি, কারণ ভারতীয় ডিজিএমও তখন এক বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন।
শেষ পর্যন্ত বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে কথোপকথন হয় এবং সেখানেই যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মত হয় দুই দেশ।
একজন সূত্র বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার যে কথা বলা হচ্ছে, তা সঠিক নয়, কারণ মূল উদ্যোগটি পাকিস্তানই নিয়েছে... বিভিন্ন দেশের সঙ্গে গোপন পর্যায়ের আলোচনা প্রায়ই হয়ে থাকে।"
বৈঠকে আরও জানানো হয়, চীনের অবস্থান এবার অনেক ইতিবাচক ছিল। ভারতীয় অভিযানের নিন্দা না করে বরং ‘আক্ষেপ’ প্রকাশ করেছে চীন, যা তাদের পূর্বের অবস্থানের তুলনায় বড় পরিবর্তন।
পাকিস্তান সম্পর্কে বলা হয়, “এ ধরনের ঘটনার সময় তারা বরাবরই নিজেকে ‘ভিকটিম’ হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করে, কিন্তু এবার ভারত তা হতে দেবে না।”
ভারতীয় অবস্থান দৃঢ়ভাবে তুলে ধরা হবে এবং সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে পাকিস্তানকে বিশ্ব দরবারে ‘উন্মোচিত’ করা হবে বলেও জানান একজন কর্মকর্তা।
যেসব দেশ সফরের জন্য নির্ধারিত, তারা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ স্থায়ী ও অস্থায়ী সদস্য।
প্রতিনিধিরা এসব দেশে গিয়ে বর্তমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বিরোধীদলীয় নেতা, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
অপারেশন সিন্দুরের পরপরই ভারত সরকার এই বড় পদক্ষেপ নেয় এবং অংশগ্রহণকারীদের নাম—যাঁরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে এসেছেন—গত সপ্তাহের শেষ দিকে ঘোষণা করা হয়।
এই সাতটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন বিজেপির বৈজয়ন্ত পাণ্ডা ও রবিশঙ্কর প্রসাদ, জনতা দল ইউনাইটেডের সঞ্জয় কুমার ঝা, শিব সেনার শ্রীকান্ত শিন্ডে, কংগ্রেসের শশী থারুর, ডিএমকের কানিমোঝি এবং শরদচন্দ্র পাওয়ারপন্থী এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে।
প্রতিনিধিদলগুলো ৩৩টি দেশ এবং বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দফতর সফর করবে।
: https://www.ndtv.com/india-news/pakistans-victim-card-chinas-changed-stand-what-outreach-delegations-were-briefed-about-8464453#pfrom=home-ndtv_topscroll
এএইচএ