
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত। গত সপ্তাহে প্রস্রাবে জটিলতা দেখা দেওয়ার পর চিকিৎসকরা পরীক্ষা করেন এবং শুক্রবার (১৬ মে) তাঁর ক্যান্সার ধরা পড়ে। রিপোর্টে দেখা গেছে, ক্যান্সারটি হাড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
বাইডেনের অফিসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “যদিও এটি একটি আগ্রাসী ধরনের ক্যান্সার, তারপরেও চিকিৎসার সুযোগ রয়েছে।”
৮২ বছর বয়সী বাইডেন এবং তাঁর পরিবার বর্তমানে চিকিৎসকদের সঙ্গে সম্ভাব্য চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করছেন।
গত বছরের নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালীন সময় থেকেই বাইডেনের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে মার্কিন ভোটারদের উদ্বেগ ছিল।
২০২৪ সালের জুনে এক বিতর্কে বাজে পারফরম্যান্সের পর বাইডেন দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন। এরপর তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ডেমোক্রেটিক দলের মনোনয়ন পান, তবে নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হেরে যান।
বাইডেনের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “এই দুঃসংবাদে আমরা শোকাহত। জো'র দ্রুত ও সফল আরোগ্য কামনা করি।”
কমলা হ্যারিস সামাজিক মাধ্যমে বলেন, “জো একজন লড়াকু মানুষ – আমি জানি, তিনি এই চ্যালেঞ্জকেও অতিক্রম করবেন তাঁর চিরাচরিত দৃঢ়তা, সহনশীলতা ও আশাবাদের মাধ্যমে।”
বাইডেনের সাবেক পরিবহনমন্ত্রী পিট বুটিজেজ বলেন, “তিনি গভীর বিশ্বাস ও অসাধারণ মানসিক দৃঢ়তার অধিকারী একজন মানুষ।”
তবে বাইডেনের প্রেসিডেন্সির শেষ দিকে তাঁর মানসিক সুস্থতা নিয়ে বিভিন্ন গোপন তথ্য গণমাধ্যমে উঠে আসে। সদ্য প্রকাশিত Original Sin বইতে দাবি করা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের সহযোগীরা বাইডেনের কগনিটিভ দুর্বলতা গোপন রেখেছিল।
এমনকি, কিছু ডেমোক্র্যাট নেতা স্বীকার করেছেন যে, বাইডেনকে মনোনয়ন দেওয়া ছিল একটি বড় ভুল, যা হয়তো হোয়াইট হাউসের দখল তাদের হাতছাড়া করেছে। তখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের বয়স ছিল ৭৮ বছর।
রয়টার্স/ইপসোস-এর এক জরিপে দেখা যায়, নির্বাচনের আগেই বেশিরভাগ আমেরিকান, এমনকি ডেমোক্র্যাটরাও মনে করতেন, বাইডেনের বয়স দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য উপযুক্তনা।
প্রোস্টেট ক্যান্সারের ক্ষেত্রে গ্লিসন স্কোর ১ থেকে ১০-এর মধ্যে দেয়া হয়, যা নির্ধারণ করে কতটা মারাত্মক ক্যান্সারটি। বাইডেনের স্কোর ৯, যা একে অত্যন্ত মারাত্মক হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
প্রসঙ্গত, প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রায়শই হাড়ে ছড়ায় এবং একবার ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ন্ত্রণে আনা অনেক বেশি জটিল হয়ে পড়ে।
উল্লেখ্য, বাইডেন তাঁর বড় ছেলে বিউ বাইডেনকে ২০১৫ সালে মস্তিষ্কের ক্যান্সারে হারিয়েছিলেন।
মুমু