
ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী সিনেটর ইসহাক দার বলেছেন, পাকিস্তান কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা চিন্তা করেনি। সম্প্রতি ভারতের আগ্রাসনের জবাবে ইসলামাবাদের সামরিক পদক্ষেপকে তিনি "পরিমিত" ও "সরাসরি আত্মরক্ষামূলক" বলে উল্লেখ করেছেন।
শনিবার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সিএনএন-এ দেওয়া প্রথম সাক্ষাৎকারে পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দার বলেন, ভারতের ৭ মে’র সীমান্ত অতিক্রম করে চালানো বিমান হামলার পর পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিল, তবে পাকিস্তান কখনো পারমাণবিক প্রতিক্রিয়ার পরিকল্পনা করেনি।
তিনি বলেন, “আমরা খুবই নিশ্চিত ছিলাম যে, আমাদের প্রচলিত অস্ত্রধারী প্রতিবেশীর সঙ্গে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর থেকে সম্পর্ক কেমন।”
উভয় পক্ষের বহু মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং সীমান্তবর্তী বিতর্কিত অঞ্চলগুলিতে অবকাঠামোর মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।
দার ভারতের কর্মকাণ্ডকে “কাশ্মীরে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার এক কল্পনাপ্রসূত প্রচেষ্টা” বলে বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের “আর কোনো উপায় ছিল না” — তাকে জবাব দিতেই হতো, কারণ এটি ছিল “একটি উস্কানিমূলক আগ্রাসনের নিখাদ উদাহরণ”।
তিনি আরও জানান, আলোচনার সময় ভারত ও পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের মধ্যে সরাসরি কোনো যোগাযোগ হয়নি।
পরিবর্তে, যোগাযোগের মাধ্যম ছিল যুক্তরাষ্ট্র।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবার আগে বলেছিলেন, নয়াদিল্লি কেবল “অভিযান স্থগিত” করেছে এবং ভবিষ্যতে উস্কানি পেলে আবারও প্রতিশোধমূলক হামলার হুঁশিয়ারি দেন।
তবে, দার এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বলেন, পাকিস্তান দুর্বলতা থেকে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করেনি।
তিনি বলেন, “তারা আকাশে কী ঘটেছে তা দেখেছে। তারা বুঝতে পেরেছে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কতটা ভয়াবহ ছিল।”
তিনি আরও বলেন, এই সংঘাতের মূল কারণ হলো কাশ্মীর।
দার বলেন, “এই অঞ্চলের অস্থিতিশীলতার মূল কারণ কাশ্মীর। কাশ্মীরের ভবিষ্যত নির্ধারিত হতে হবে আত্ম-সংকল্পের মাধ্যমে।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাশ্মীরের নদীগুলোর পানির বিতরণ সংক্রান্ত বিরোধ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি নয়াদিল্লি চেনাব নদীর প্রবাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত বাতিল না করে, তবে সেটি “যুদ্ধ ঘোষণার শামিল” হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
সূত্র: https://pakobserver.net/pakistan-never-considered-nuclear-option-during-clashes-with-india-dar/
এএইচএ