
ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি আলোচনাগুলো থেকে দেখা যাচ্ছে, আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি সূক্ষ্ম কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মুখোমুখি হচ্ছি। কেউ কেউ এটিকে ঝলমলে কিন্তু খোলসা হিসেবে দেখে, আবার অন্যরা এটিকে “কগনিটিভ থিয়েটার” বা বুদ্ধিমত্তার মায়াজাল বলছেন—একটি জটিল অভিনয় যা আমাদের নিজেদের চিন্তাকে ছাড়িয়ে যেতে প্ররোচিত করে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সত্যিকারের অর্থে বুঝতে বা চিন্তা করতে পারে না; এটি কেবল মানুষের ভাষার রূপক এবং পূর্বাভাস তৈরি করে। এই প্রবাহিত ভাষা আমাদের ভ্রান্ত করে দিতে পারে, যেন এটি অনেক কিছু জানে। বিপদটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জ্ঞানেই নয়, আমাদের ভুল বিশ্বাস এবং অতিরিক্ত নির্ভরতার মধ্যে।
চিকিৎসা, শিক্ষা সহ নানা ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের কাজকে দ্রুততর এবং সৃজনশীল করতে সাহায্য করতে পারে—তবুও যদি আমরা খুব বেশি নির্ভর করে ফেলি, তাহলে আমাদের নিজস্ব সমালোচনামূলক মনোযোগ এবং উদ্দেশ্য হারানোর ঝুঁকি থাকে। আসল ভয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের স্থান নেবে না, বরং আমরা নিজেই সেই মানসিক প্রচেষ্টা থেকে সরে যাব।
মূল কথা হলো—সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে সহযোগী হিসেবে ব্যবহার করা যাতে আমাদের চিন্তা বিকাশ পায়, প্রতিস্থাপন নয়। এই সময় আমরা মেশিনের প্রদর্শনায় মোহিত না হয়ে, নিজেদের কৌতূহল, বিচক্ষণতা এবং দায়িত্ব বজায় রাখার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। কারণ শেষ পর্যন্ত, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পরীক্ষা হচ্ছে আমাদের নিজস্ব পরীক্ষাও।
: https://www.psychologytoday.com/us/blog/the-digital-self/202505/ai-isnt-just-a-tool-its-a-test
এএইচএ