ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২

দেহে জিঙ্কের অভাব? বিজ্ঞানীদের আবিষ্কারে মিললো সম্ভাব্য সমাধান

প্রকাশিত: ১০:২৩, ১৪ মে ২০২৫; আপডেট: ১০:২৫, ১৪ মে ২০২৫

দেহে জিঙ্কের অভাব? বিজ্ঞানীদের আবিষ্কারে মিললো সম্ভাব্য সমাধান

ছবি:সংগৃহীত

মানুষসহ সকল জীবের বেঁচে থাকার জন্য জিঙ্ক অত্যাবশ্যক। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৭% মানুষ জিঙ্ক ঘাটতির ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সংক্রান্ত অপুষ্টিকে রোগ ও মৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করে।

জিঙ্ক কীভাবে কোষে কাজ করে এবং তা কীভাবে প্রোটিনে যুক্ত হয়—তা এখনো বিজ্ঞানীদের কাছে পুরোপুরি পরিষ্কার নয়। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা একটি নতুন প্রোটিন আবিষ্কার করেছেন, যেটি কোষে জিঙ্কের স্বল্পতার সময়ও কোষকে বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করে। এই প্রোটিনটির নাম দেওয়া হয়েছে ZNG1।

যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার এবং ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটির গবেষকদের যৌথ প্রচেষ্টায় জানা গেছে, ZNG1 নামক প্রোটিনটি একটি "মেটালোচ্যাপারোন", অর্থাৎ এটি জিঙ্ক বা লোহা জাতীয় ধাতু কোষের প্রয়োজনীয় প্রোটিনে পৌঁছে দেয়।বিশেষ করে এটি METAP1 নামক একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিনকে সহায়তা করে, যা কোষে অন্যান্য প্রোটিন সক্রিয় করতে সাহায্য করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ZNG1 না থাকলে কোষ ঠিকভাবে জিঙ্ক ব্যবহার করতে পারে না, ফলে মাইটোকন্ড্রিয়া সঠিকভাবে কাজ করে না এবং কোষ শক্তি উৎপাদনে ব্যর্থ হয়। এছাড়াও, ZNG1 প্রোটিন-সম্পর্কিত জিন মিউটেশন করা হলে দেখা গেছে—চিড়িয়ার ভ্রূণ বা ইঁদুর সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে না, এমনকি বিকলাঙ্গতা দেখা দেয়।

গবেষকরা মনে করছেন, ZNG1 শুধু METAP1 নয়, বরং আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিনে জিঙ্ক সরবরাহ করে এবং এর মাধ্যমে একটি প্রাণী অল্প পরিমাণ জিঙ্ক দিয়েও বেঁচে থাকতে পারে। এ আবিষ্কার ভবিষ্যতে জিঙ্ক ঘাটতির কারণে হওয়া স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।

আলীম

×