
ছবি :সংগৃহীত
ভারতের সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিঁদুর’ সেনা অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া কর্নেল সোফিয়া কুরেশির ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে কটাক্ষ করে বিতর্কে জড়িয়েছেন মধ্যপ্রদেশ রাজ্য সরকারের আদিবাসী কল্যাণমন্ত্রী বিজয় শাহ। সেখানে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি।
ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, সম্প্রতি একটি জনসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে বিজেপি নেতা এবং উপজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিজয় শাহ ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসা করে বলেন, “যারা হিন্দুদের হত্যা করেছে এবং আমাদের মেয়েদের সিঁদুর মুছে দিয়ে বিধবা করেছে, তাদের জাতেরই এক বোনকে আমরা প্রতিশোধ নিতে পাঠিয়েছি। এই কারণে মোদিজিকে সম্মান জানিয়ে আরেকবার হাততালি দিন।”
এই মন্তব্যের পরপরই ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা ও নিন্দা ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এর বিরুদ্ধেই সবচেয়ে বেশি সরব হয়।
ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এক্সে (পূর্বে টুইটার) দেওয়া এক বার্তায় বিজয় শাহের পদত্যাগ দাবি করেন। তিনি বলেন, বিজয় শাহ এই ধরনের মন্তব্য করে ভারতের সেনাবাহিনী ও নারী সমাজকে অপমান করেছেন।
একই দাবি জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসও। দলটির মিডিয়া সেল থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, “যখন আমাদের সেনারা সীমান্তে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করছে, তখন মধ্যপ্রদেশের এক মন্ত্রী কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে ‘জঙ্গিদের বোন’ বলে অপমান করছেন। এটি দেশের গর্বিত সেনাবাহিনীর অবমাননা এবং বিজেপির আসল রূপ তুলে ধরছে। সেনা কর্মকর্তাদের নিয়ে এমন মন্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত সুর নরম করেন বিজয় শাহ। মঙ্গলবার রাতে এক্সে দেওয়া এক বার্তায় তিনি লেখেন, “আমাদের বোন সোফিয়া ধর্ম ও জাতির ঊর্ধ্বে উঠে ভারতের সম্মান বৃদ্ধি করেছেন। আমি তাকে আমার নিজের বোনের থেকেও বেশি সম্মান করি। তিনি জাতির জন্য যে সেবা দিয়েছেন, তার জন্য আমি তাকে স্যালুট জানাই। তাকে অপমান করার কথা আমরা কল্পনাও করিনি। তবুও যদি আমার কথায় কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন— আমি দশবার ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আছি।”
সূত্র - https://ln.run/AdxaL
সা/ই