
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিফ মুনির সাধারণত খুব একটা প্রকাশ্যে আসেন না। তার বক্তব্য বা উপস্থিতি বরাবরই রহস্যে ঢাকা। কিন্তু এবার পেহেলগাঁও হামলার প্রেক্ষাপটে হঠাৎ করেই এই নিরুত্তাপ সেনাপ্রধান উঠে এসেছেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
গত বৃহস্পতিবার, এক সেনা মহড়ার সময় ট্যাংকের উপর দাঁড়িয়ে সরাসরি ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জেনারেল আসিফ মুনির বলেন, “ভারতের যেকোনো দুঃসাহসের জবাব হবে দ্রুত, কঠোর এবং আরও উচ্চ পর্যায়ের।” তার এই বক্তব্য শুধু প্রতিক্রিয়া নয় বরং বিশ্লেষকদের মতে, এটি একটি সুস্পষ্ট বার্তা।
নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন, আসিফ মুনিরের এই অবস্থান কেবল রাজনৈতিক কৌশল নয়; তিনি আদর্শগতভাবেও ভারতবিরোধী মনোভাব পোষণ করেন। এর পেছনে রয়েছে তার অতীত পেশাগত অভিজ্ঞতা। পাকিস্তানের দুটি প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স (এমআই) এর নেতৃত্বে থাকাকালে তিনি সরাসরি ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক এবং সংঘাতের জটিল বাস্তবতা দেখেছেন।বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বকে তিনি শুধু ভৌগোলিক বা রাজনৈতিক নয়, বরং একটি ধর্মীয় বিশ্বাস ও আদর্শগত সংঘর্ষ হিসেবেও দেখেন।
কে এই আসিফ মুনির?
১৯৬৮ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে জন্ম নেওয়া জেনারেল মুনিরের শিকড় ভারতের মাটিতে। দেশভাগের সময় তার পরিবার ভারত ছেড়ে পাকিস্তানে চলে আসে। তিনি ২০২২ সালে পাকিস্তানের ১১তম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
একটি বিস্ময়কর তথ্য হলো জেনারেল মুনির পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম সেনাপ্রধান, যিনি দেশটির দুই গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং এমআই দুটোরই প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি পাকিস্তানের প্রথম সেনাপ্রধান যিনি সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্থ করেছেন; একজন হাফেজ-এ-কোরআন।
সাম্প্রতিক কঠোর বার্তা এবং ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের নতুন উত্তাপে জেনারেল আসিফ মুনির এখন পাকিস্তানসহ আন্তর্জাতিক মহলের আলোচনার শীর্ষে। তার পরবর্তী পদক্ষেপ ঘিরে কূটনৈতিক মহলেও বাড়ছে উত্তেজনা।
সূত্র:https://tinyurl.com/53upjvn6
আফরোজা