
ছবি: সংগৃহীত
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান সরকারের উদ্দেশে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বলেছেন, জাতীয় সংলাপ আহ্বান করে রাজনৈতিক ঐক্যের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। একক নির্বাহী আদেশে দলটিকে নিষিদ্ধ করলে তা পরবর্তীতে আইনি ভিত্তি হারাতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আজ এক বক্তব্যে রাশেদ খান বলেন, “এখন একমাত্র উপায় জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে সকল রাজনৈতিক দলকে নিয়ে ঐকমত্য তৈরি করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। এই দাবি বাস্তবায়নে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার সময় দিচ্ছি।”
তিনি বলেন, “অভ্যুত্থানে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন শ্রমিকরা। আমরা দেখেছি লুঙ্গিপরা শ্রমিক, রিকশাচালক, ভ্যানচালক—যারা যার অবস্থান থেকে আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। একজন ছাত্র শহীদ হওয়ার পর লাশ হাসপাতালে নেওয়ার কেউ ছিল না, তখন এক রিকশাচালক সেই লাশ মর্গে পৌঁছে দিয়েছেন। ছাত্রদের জন্য পানি নিয়ে এসেছেন রিকশাচালক ভাইয়েরা—বলেছেন, ‘বাবারা, তোমরা এই পানি খাও।’ শ্রমিকরা যদি রাজপথে না নামতেন, তবে হাসিনার মসনদ কখনোই কেঁপে উঠতো না।”
শ্রমিকদের প্রতি সরকারের অবহেলার কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, “উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছে, অথচ সেখানে একজনও শ্রমিক বিষয়ে অভিজ্ঞ নন। কেউ শ্রমজীবী মানুষের বাস্তবতা বোঝেন না। লাখো কোটি শ্রমিক রয়েছেন এই দেশে, কিন্তু তাদের নিয়ে কারও কোনো ভাবনা নেই। শ্রমিকরা কষ্টে আছে, ত্যাগ করছে, অথচ তাদের প্রতি রাষ্ট্রের কোনো দায়িত্ববোধ নেই।”
তিনি আরও বলেন, “রিকশাচালক ভাইয়েরা প্যাডেল মেরে শরীরের শেষ শক্তিটুকু নিংড়ে দিচ্ছেন। তাদের পা শুকিয়ে যাচ্ছে, শরীর ভেঙে পড়ছে। গার্মেন্টস শ্রমিকরা প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা কাজ করে, অথচ পান অল্প বেতন। শ্রমিকদের জন্য আইন থাকলেও তার বাস্তব প্রয়োগ নেই। যদি আমরা সত্যিই উন্নত রাষ্ট্র হতাম, তাহলে এসব দৃশ্য দেখতে হতো না।”
বক্তব্যে রাশেদ খান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এই দেশের শ্রমিকরা হাসিনার মসনদ গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আগামীতে যেই সরকারই আসুক, যদি শ্রমিকদের কথা না ভাবেন, তাহলে কোনো মসনদই টিকবে না। সরকারকে বলব—শ্রমিকদের যথাযথ মর্যাদা দিন। তাদের অধিকার রক্ষা করুন।”
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=4dk8blzjL5o
এএইচএ