ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৮ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২

হামাসের কাছে ছিলেন নিরাপদে, মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরে ধর্ষণের শিকার ইসরায়েলি তরুণী

প্রকাশিত: ১১:৪২, ৭ মে ২০২৫; আপডেট: ১১:৪৩, ৭ মে ২০২৫

হামাসের কাছে ছিলেন নিরাপদে, মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরে ধর্ষণের শিকার ইসরায়েলি তরুণী

হামাসের জিম্মিদশায় ছিলেন নিরাপদে, কিন্তু নিজ দেশে ফিরে রক্ষা পেলেন না যৌন সহিংসতা থেকে। এমনই এক বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন মিয়াশেম নামের এক ইসরায়েলি তরুণী। গাজা থেকে মুক্ত হয়ে ফিরে আসার পর নিজ বাসভবনে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি। ঘটনাটি ইতোমধ্যেই ইসরাইলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

হামাসের কাছে বন্দি জীবনে নিরাপদে থাকলেও, নিজ দেশে ধর্ষণের শিকার হলেন ইসরাইলি তরুণী।তেল আবিবের নিজ বাসভবনে এক ফিটনেস ট্রেইনার তাকে ধর্ষণ করেন। ২০২৩ সালে হামাস অপহরণ করেছিল তাকে। প্রায় দুই মাস জিম্মি থাকলেও কোনো ধরনের বাজে আচরণের মুখোমুখি হতে হয়নি বলে জানিয়েছিলেন নিজেই। মুক্তির পর দেশে ফিরে নিজ বাসভবনে এমন ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না তিনি।

মিয়াশেম, ২৩ বছর বয়সী ইসরাইলি এই তরুণী, সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের জিম্মি ছিলেন প্রায় দুই মাস। জিম্মি দশায় কোনো প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন না হলেও, নিজ দেশে ফিরে ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে তাকে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের নোভা মিউজিক ফেস্টিভালে হামলা চালায় হামাস। সেখান থেকেই মিয়া সহ বেশ কিছু ইসরাইলি নাগরিককে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর ৫৪ দিন পর ১০০ ইসরাইলি বন্দীর সাথে মুক্তি পান মিয়া। ফিরে আসেন ইসরাইলে।

হামাসের কাছে বন্দী অবস্থায় ধর্ষণের আতঙ্কে থাকতেন মিয়া। কিন্তু তেমন কিছুই হয়নি। সেখান থেকে নিরাপদে ফিরে আসার পর, নিজ দেশেই যৌন নিপীড়নের শিকার হতে হবে, তা কল্পনাতেও ভাবেননি তিনি।

সম্প্রতি ইসরাইলের টেলিভিশন চ্যানেল ১২-এ দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মিয়া বলেন,“সারাজীবন এটাই আমার সবচেয়ে বড় ভয় ছিল। জিম্মি হওয়ার আগে, জিম্মি থাকার সময়। জিম্মি দশা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর, যেখানে আমার সবচেয়ে নিরাপদ থাকার কথা, সেখানেই আমার সঙ্গে এটা ঘটেছে।”

বাড়ি ফেরার পর ৩০ বছর বয়সী এক ফিটনেস ট্রেইনারের সাথে আলাপ হয় তার। মিয়া দাবি করেন, ঘটনার দিন ওই ব্যক্তি তাকে হলিউডের প্রযোজকের সাথে দেখা করানোর প্রস্তাব দিয়ে তার ফ্ল্যাটে দেখা করতে আসে। সেখানেই চেতনানাশক দিয়ে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করা হয় মিয়াকে।

মিয়ার মা বলেন,“আমার মেয়ে সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে। সে জিম্মি দশা থেকে খুবই কঠিন শারীরিক ও মানসিক অবস্থা নিয়ে ফিরে এসেছিল। কিন্তু তারপরও তার অবস্থা এতটা খারাপ ছিল না। এখন আমি তার মধ্যে যে বিধ্বস্ত অবস্থা দেখছি, তাতে আমি সত্যিই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি।”

মিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হয়েছে সেই ট্রেইনার। তবে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে সে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়েও দিয়েছে পুলিশ।

ইসরাইলি গণমাধ্যম বলছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়। ইসরায়েলের সাবেক এক প্রধানমন্ত্রীসহ বেশ কিছু তারকার ট্রেইনার সে।

 

 


সূত্র:https://tinyurl.com/55c3u699

আফরোজা

×