
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হয়েছে। এটি দেশের প্রথম রাজ্য, যেখানে এই নিয়ম চালু হলো। উত্তরাখণ্ডের বিধানসভায় প্রস্তাব পাস হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু অনুমোদন দেন। ফলে, সোমবার (২৭ জানুয়ারি) থেকে এই আইন কার্যকর হয়েছে।
নতুন আইনে একাধিক বিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটি এখন থেকে আইনত অপরাধ। বিবাহ বিচ্ছেদের নিয়ম সবার জন্য একই হবে। তালাক, হালালা এবং ইদ্দত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এতে প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়েদের লিভ ইন সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তবে এই সম্পর্ক নথিভুক্ত করতে হবে। নথিভুক্ত না করলে সম্পর্কটি বৈধ বলে ধরা হবে না। লিভ-ইন সম্পর্ক থেকে জন্ম নেওয়া সন্তান সম্পত্তির অধিকার পাবে।
আইনে বলা হয়েছে, বিয়ের জন্য ছেলেদের ন্যূনতম বয়স ২১ বছর এবং মেয়েদের ১৮ বছর হতে হবে। যে কোনো ধর্মীয় নিয়মে বিয়ে করা যাবে। তবে বিয়ের রেজিস্ট্রি ৬০ দিনের মধ্যে করতে হবে।
তবে উপজাতিদের নতুন আইনের বাইরে রাখা হয়েছে। তাদের সংস্কৃতি রক্ষার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
এদিকে, বিরোধী নেতারা এই আইনের সমালোচনা করেছেন। তারা বলেছেন, এটি বিভেদমূলক এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিয়ে রেজিস্ট্রি ভালো উদ্যোগ হলেও লিভ ইন সম্পর্ক নথিভুক্ত করার নিয়ম ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। অনেকের মতে, দেশের বড় সমস্যাগুলো এড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই এই আইন আনা হয়েছে।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে
এম.কে.