
বাংলাদেশি পণ্যের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছসহ বছরে প্রায় পাঁচশত কোটি টাকার বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি হয় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। বিশেষ করে মাছের চাহিদা অনেক বেশি।
আখাউড়া স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪৫৩ কোটি ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৯৩ টাকার বাংলাদেশি পণ্য ত্রিপুরায় রপ্তানি হয়। এই সময়ে আমদানি করা হয়েছে ৪ কোটি ৭১ লাখ ৪৪ হাজার ৪৮১ টাকার পণ্য। যা থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ২ কোটি ৭১ লাখ ৩০ হাজার ৯৪০ টাকা।
এই স্থলবন্দর দিয়ে মাছ, সিমেন্ট, এলপিজি, হালকা পানীয়, পিভিসি পাইপ, প্লাস্টিক সামগ্রী ও পাম তেলসহ বিভিন্ন বাংলাদেশি পণ্য সামগ্রী ত্রিপুরায় রপ্তানি হয়। বিপরীতে ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে আসে জিরা, ডাল, কাজুবাদামসহ কিছু পণ্য সামগ্রী।
আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো: ফারুক মিয়া জানান, বাংলাদেশি মাছের চাহিদা অনেক বেশি থাকায় অন্যান্য পণ্যের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি মাছ রপ্তানি হয় ভারতের ত্রিপুরায়। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মাছ রপ্তানি হয় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে। কোন কারণে মাছ রপ্তানি বন্ধ থাকলে ত্রিপুরার বাজারগুলোতে মাছের চাহিদা বেড়ে যায় বলেও তিনি জানান।
আখাউড়া স্থলবন্দর সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাসিবুল হোসেন জানান, মাছ ছাড়াও অন্যান্য পণ্যের চাহিদা বাড়ছে ত্রিপুরায়। সিমেন্ট, এলপিজি, পানীয়, পিভিসি পাইপসহ প্লাস্টিকের নানা সামগ্রী, এমনকি পরিশোধিত পাম তেলও বাংলাদেশ থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে রপ্তানি হয়। তিনি জানান, ত্রিপুরা থেকে যে পরিমাণ মালামাল বাংলাদেশে আমদানি হয়, বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় তার শতগুণ বেশি পণ্য রপ্তানি হয়।
আখাউড়া কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৪৫৩ কোটি টাকার বেশি মাছসহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী রপ্তানি করা হয়েছে। আমদানি হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকার পণ্য। তবে অর্থবছরের চলতি মে মাসে আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ বাড়তে পারে। এই বন্দর দিয়ে রপ্তানিকৃত পণ্যের মধ্যে মাছ রপ্তানি হয় বেশি। উল্লেখ্য, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সেভেন সিস্টার খ্যাত সাতটি অঙ্গরাজ্যে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী রপ্তানি হয়ে থাকে।
আফরোজা