
ছবি: জনকণ্ঠ
পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের রহমতপুর মহল্লায় মরা খাল থেকে বুধবার সকালে গৃহবধূ হালিমা বেগমের (১৯) পচনধরা মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী রাসেল বেপারী রানা (৩০), তার সহযোগী শুভ হাওলাদার (২৩), মো. জালাল (৪৫) ও মাসুমকে (২২) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
আজ শুক্রবার (৯ মে) তাদের আদালতে প্রেরণ করা হবে। এ ঘটনায় প্রথমে একটি ইউডি মামলা হয়। পরে নিহত হালিমার মা রাশিদা বেগম একটি হত্যা মামলা করেন। বৃহস্পতিবার রাতে মামলাটি করা হয়েছে। এ মামলায় মোট পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে বুধবার সকালে কলাপাড়া থানা পুলিশ অজ্ঞাত হিসেবে ওই লাশটি উদ্ধার করে। লাশটিতে কাদামাখা ছিল। ছিল পচন ধরা যা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল।
স্থানীয়রা জানান, খালের পাশে দুর্গন্ধ পেয়ে তারা খুঁজতে গিয়ে কাদা ময়লার স্তুপের মধ্যে হতভাগী ওই নারীর মরদেহ দেখতে পান। মুখ ও শরীরের কিছু অংশ কাদা-ময়লার নিচে আটকা ছিল।
কলাপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম আরো জানান, নিহতের স্বামী একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তার সহায়তায় এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এর সঙ্গে আরো কেউ জড়িত কি না তা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। তবে যেখানে খালের মধ্যে হালিমার মৃতদেহ পাওয়া গেছে সংলগ্ন পরিত্যক্ত নির্মাণাধীন ভবনে বসে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলেও পুলিশ অনেক টা নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া ওই নারী পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে কি না তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে আদালতের নির্দেশে স্বামী রানাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করা হবে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
জানা গেছে, নিহত হালিমা নিঃসন্তান ছিলেন। তার বাবার নাম সিকদার দোয়ারি। আমতলীর আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের পাতাকাটা গ্রামে বাড়ি। দেড় বছর আগে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। স্বামী ভবঘুরে মাদকাসক্ত। তারা কলাপাড়া পৌরসভায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
মেজবাহউদ্দিন/রবিউল