
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ‘ঘনিষ্ঠ মিত্র’ বলে মনে করেন না।
সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। লেবাননে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে নেতানিয়াহু প্রশাসনকে পাঠানো চিঠি ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করার পর কমলা এই অবস্থান ব্যক্ত করলেন।
গতকাল রোববার রাতে, সিবিএস নিউজ কমলা হ্যারিসের কাছে জানতে চাওয়া হয়—যুক্তরাষ্ট্রে কীভাবে দিনের পর দিন ইসরায়েলকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে এর কোনো প্রভাবই নেতানিয়াহুর ওপর পড়ছে না? জবাবে কমলা হ্যারিস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে গাজা ও লেবাননের যুদ্ধ শেষ করার জন্য চাপ দিয়েছিল।
অপর এক প্রশ্নে কমলা হ্যারিসের কাছে জানতে চাওয়া হয়, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র কি না? জবাবে কমলা হ্যারিস বলেন, ‘যথাযথ সম্মানের সঙ্গে আমি মনে করি, এই প্রশ্ন করা ভালো যে—আমেরিকান জনগণ ও ইসরায়েলি জনগণের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ জোট আছে কি না? এ ক্ষেত্রে উত্তর হলো—হ্যাঁ।’ তবে মূল প্রশ্নের বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
গত জুলাই মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ান বাইডেন। পরে ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রার্থী হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে বেছে নেয়। এরপর থেকেই তিনি ইসরায়েলপন্থী ও ফিলিস্তিনপন্থী উভয় পক্ষের সমালোচনায় পড়েছেন। এক বার তিনি ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন বজায় রাখার কথা বলেন, আবার তিনি ইসরায়েলকে যুদ্ধ থেকে সরে আসারও আহ্বান জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। বলেছেন, ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণাঙ্গ সমর্থন আছে। একই সঙ্গে ইরানকে ইসরায়েলের হামলার জন্য ‘ভয়াবহ পরিণতি’ ভোগ করতে হবে। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাইডেন বলেন, ‘আমার নির্দেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী সক্রিয়ভাবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাকে সমর্থন করেছে। ইরানের আক্রমণ পরাজিত এবং অকার্যকর বলে মনে হচ্ছে।’
বাইডেন আরও বলেন, ‘এটি ইসরায়েলের সামরিক সক্ষমতার প্রমাণ...এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যে (ইরানের) নির্লজ্জ আক্রমণের পূর্বাভাস এবং প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে নিবিড় পরিকল্পনারও একটি প্রমাণ।’ এ সময় ইরানকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো ভুল করবেন না।
তাসমিম