ইসরাইলি হামলার পর শরণার্থী শিবিরে আগুন জ্বলছে
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের তাল-আস-সুলতান শরণার্থী শিবিরে সোমবার ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৪০ জন নিহত এবং আহত হয়েছেন শতাধিক। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এদিকে আশ্রয়কেন্দ্রে এ হামলার প্রতিক্রিয়ায় সোমবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
অন্যদিকে ফিলিস্তিনের গাজা যুদ্ধে নিরঙ্কুশ বিজয় বা হামাসের বিনাশ কোনোটাই সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট। গাজার চলমান যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানানোর সময় তিনি এমন মন্তব্য করেন। খবর আলজাজিরার।
এর আগে রবিবার ইসরাইলের তেল আবিবকে লক্ষ্য করে একের পর এক রকেট ছুড়েছে হামাস। সংগঠনটির সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডস এক বিবৃতিতে জানায়, গাজার গণহত্যার প্রতিবাদেই বেশকিছু সংখ্যক রকেট ছুড়েছে হামাস যোদ্ধারা। ইসরাইলি সেনারা জানিয়েছে, হামাস দীর্ঘ চার মাস পর ইসরাইলের তেল আবিবে রকেট হামলা চালিয়েছে।
ফিলিস্তিনের রাফাহ শহর থেকে কয়েকটি রকেট ছোড়া হলেও একাধিক প্রতিহতের দাবি করেছে ইসরাইলি সেনারা। এ হামলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। হামাসের রকেট হামলার পাল্টা জবাবেই মূলত গাজার রাফাহ শহরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
পশ্চিম তীর ভিত্তিক ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ও মিসর সোমবার সকালে ইসরাইলের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে উদ্বাস্তুদের নিশানা করার অভিযোগ তুলেছে। এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কার্যালয় বলেছে, ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ সব আন্তর্জাতিক আইনি প্রস্তাবের জন্য চ্যালেঞ্জ।
মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এক বিবৃতিতে উদ্বাস্তু মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে পরিকল্পিত বোমাবর্ষণের অভিযোগ করেছে। বিবৃতিতে আইসিজের নির্দেশ অনুসারে রাফাহতে সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেলও আইসিজের নির্দেশ মেনে চলতে ইসরাইলকে আহ্বান জানিয়েছেন।