ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

পোল্যান্ডে কাজের ভিসা এই পদক্ষেপ অনুসরণ করুন

প্রকাশিত: ২২:৫১, ১৫ এপ্রিল ২০২৪

পোল্যান্ডে কাজের ভিসা এই পদক্ষেপ অনুসরণ করুন

পোল্যান্ডের ভিসা

পূর্ব ইউরোপের পোল্যান্ড ব্যস্ততম শহর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানি ইহুদি সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ পোল্যান্ড দখল করে নেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসিবাহিনী কর্তৃক ব্যাপক পরিসরে ইহুদিনিধন ইতিহাসে বিভৎসতার চিহ্ন হয়ে রয়েছে। পোল্যান্ডে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে।

পোল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চাইলে ভিসা আবেদন, ফ্লাইট ভাড়া এবং আনুসাঙ্গিক সকল খরচ মিলে প্রায় ৪ লাখ টাকার মতো লাগবে। তবে আপনি যদি পোল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান সেক্ষেত্রে ৭০-৮০ হাজার টাকাতেই হয়ে যাবে।

এছাড়াও, পোল্যান্ড ভ্রমণ ভিসায় যেতে চাইলে ১-১.৫ লাখ টাকা লাগে। তবে আপনার পরিবার বা বন্ধু যদি পোল্যান্ড থেকে আপনার জন্য ভিসা পাঠিয়ে দেয়, সেক্ষেত্রে ১ লাখ টাকা বা এর কমেও পোল্যান্ড ভ্রমণ করতে যেতে পারবেন।

১.কাজ খুঁজুন: পোল্যান্ডের একটি কর্মদাতা থেকে নির্ধারিত একটি কাজের অফার নিন। সে কাজের অফার এবং এর বৈধতা নিশ্চিত করার নিমিত্তে তারা নির্ধারিত নথিগুলি প্রদান করতে পারেন।

২. কর্মপারদর্শিকা: পোল্যান্ডের আপনার কর্মদাতা আপনার কর্মপারদর্শিকা জমা দেওয়ার জন্য পোল্যান্ডের প্রাসঙ্গিক কর্মপারদর্শিকা থেকে আবেদন করতে হবেন। এটা সাধারণত কাজের সম্পর্কে নথি এবং আপনার যোগ্যতাসম্পন্নতা সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি জমা দেওয়া মাধ্যমে ঘটে।

৩. ভিসা আবেদন: কর্মপারদর্শিকা অনুমোদন পেলে আপনি কাতারের পোল্যান্ডীয় দূতাবাস বা কনসুলেটে ভিসা জমা দিতে পারেন। আপনার পাসপোর্ট, ভিসা আবেদন ফর্ম, পাসপোর্টের সাইজের ছবি, পোল্যান্ডে অবস্থানের প্রমাণ, আর্থিক উপায়ের প্রমাণ, এবং অন্যান্য সমর্থন নথি জমা দিতে হতে পারে।

৪. সাক্ষাৎকার এবং বায়োমেট্রিক্স: সম্ভাবনা রয়েছে যে, আপনাকে দূতাবাসে বা কনসুলেটে ইন্টারভিউ অংশগ্রহণ করতে হবে এবং বায়োমেট্রিক তথ্য (উদাহরণস্বরূপ আঙ্গুলের আঁকা) প্রদান করতে হতে পারে।

৫. ভিসা অনুমোদন: আপনার ভিসা আবেদন অনুমোদিত হলে, আপনি আপনার কাজের ভিসা পেতে সক্ষম হবেন, যা আপনাকে পোল্যান্ডে ভ্রমণ করতে এবং বৈধভাবে কাজ করতে অনুমতি দেয়।

৬. বাসস্থানিক অনুমতি: পোল্যান্ডে আগতে পরে, আপনার পোল্যান্ডে বসতির অনুমতি জমা দেওয়া উচিত হবে যাতে আপনি পোল্যান্ডে এবং একটি নির্দিষ্ট সময়কালে কাজ করতে পারেন।

৭. চিকিৎসা বীমা: সাধারণত পোল্যান্ডে থাকা সময়ে আপনার চিকিৎসা বীমা অবশ্যই থাকতে হবে।

পোল্যান্ডের দূতাবাস বা কনসুলেটে নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা এবং পদক্ষেপগুলো নিয়ে সঠিক তথ্য পেতে যোগাযোগ করুন অথবা তাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করুন। সেই সঙ্গে প্রয়োজনে ইমিগ্রেশন আইনজীবী বা বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

এম হাসান

×