ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

মেলবোর্নে আনন্দধারা আয়োজিত গাহি সাম্যের গান

প্রকাশিত: ২১:১৪, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

মেলবোর্নে আনন্দধারা আয়োজিত গাহি সাম্যের গান

বাংলাদেশি শিশু কিশোরদের পরিবেশনা। 

মেলবোর্নের ল্যাভার্টন কম্যুনিটি হাব মিলনায়তনে বাংলাদেশি শিশু কিশোরদের সাংস্কৃতিক সংগঠন আনন্দধারা আয়োজিত অনুষ্ঠান গাহি সাম্যের গান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আরো ছিল আগত শিশুদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এই আয়োজন করা হয়।

তিনটি বিভাগে বিভক্ত শিশুদের ছবি আঁকা দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানটি। এরপর হলভর্তি দর্শকের উপস্থিতিতে একে একে শিশুরা পরিবেশন করে দলীয়, একক ও দ্বৈত সঙ্গীত, যন্ত্রসংগীত ও নৃত্য। এতে অংশ নেয় আনুশকা, তিতলি, তনু, আধিরা, আরাইনা, উমাইজা , আনবিয়া, আরাধ্য, আরিজ, আহিল, ওয়ানিয়া, রাইসা, লামিয়া, তাসভি, মারেক, জাইম, তাহমিদ, রায়াত, জারিয়াব, অরি , সাহির, জারিয়াব প্রমুখ। আনন্দধারার পক্ষ থেকে জানানো হয়, অনুষ্ঠানের শিরোনাম নির্বাচনে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে মিশ্র সংস্কৃতির দেশ অস্ট্রেলিয়ায় বড় হওয়া এই প্রজন্মের চিন্তা ভাবনা ভালোলাগা ও ভালোবাসাকে। আনন্দ বেদনার সুর সারা পৃথিবী জুড়েই অভিন্ন, যা দেশ কাল জাতি ধর্ম বর্ণ সবকিছুর ঊর্ধ্বে। এখানে সবাই আমরা একরকম না কিন্তু সব মিলে মিশে আমরা এক হয়ে যাই। জাতীয় কবির ‘গাহি সাম্যের গান’ সেই ধারণাটির সবচেয়ে শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। 

অনুষ্ঠানের শুরু হয় দুই দেশের জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রথম গানটি ছিল কবিগুরুর আমার মুক্তি আলোয় আলোয়। মিলনায়তনে আলো নিভে গিয়ে তখন আলো এসে পড়ে মঞ্চের শিশু কিশোরদের উপর। এরপর একে একে মঞ্চে পরিবেশিত হয় গান, যন্ত্র সঙ্গীত ও নৃত্য। ভাষার মাস ফেব্রয়ারিকে ঘিরে এই আয়োজনের শেষটুকু ছিল অমর একুশের গানের রেশ ধরে। অনুষ্ঠানে আরো ছিল শিশুদের আঁকা ছবি বিক্রয়ের ব্যবস্থা। দর্শকদের জন্য মজার খাবারের স্টল নিয়ে আসে লিটল কিচেন। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন- শাহনেওয়াজ সুধী এবং মিতা চৌধুরী। প্রবাসে বড় হওয়া বাংলাদেশি শিশু কিশোরদের মধ্যে বাংলা সংস্কৃতির সুষ্ঠু বিকাশের লক্ষ্যে ২০১৫ সালে সমমনা কয়েকটি বন্ধু পরিবার মিলে গঠন করে আনন্দধারা। সেই থেকে এই সংগঠনটি শিশু কিশোরদের গান, নাচ, যন্ত্র সঙ্গীত ও ছবি আঁকার নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে। আনন্দধারার মূল উদ্যেশ্য এই প্রজন্মকে তাদের শেকড়ের সঙ্গে পরিচিত করে তোলা। বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে তাদের যোগসূত্র যেন বজায় থাকে এটাই এই সংগঠনের লক্ষ্য। এখানে শিক্ষক হিসেবে এখানে যুক্ত আছেন সাদিয়া হামিদ নিঝুম, নেহা , সাখাওয়াত বাবু এবং শাহনেওয়াজ সুধী।

এম হাসান

×