ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩০

অ্যান্টার্কটিকায় ফুটছে ফুল

টাইমস অব ইন্ডিয়া

প্রকাশিত: ২৩:৩৩, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩; আপডেট: ২৩:৪০, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

অ্যান্টার্কটিকায় ফুটছে ফুল

বরফের চাদর সরিয়ে উঁকি দিচ্ছে কচি পাতা, ফুল

বরফের চাদর সরিয়ে উঁকি দিচ্ছে কচি পাতা, ফুল। অ্যান্টার্কটিকায় এমন দৃশ্য দেখা দিচ্ছে। যদিও ফুল ফোটার মধ্যে খারাপের কিছু নেই। তবে অ্যান্টার্কটিকায় এমন ঘটনায় শঙ্কিত বিজ্ঞানীরা। এর আগে তীব্র শীতল অঞ্চলটিতে এত দ্রুত কখনো কোনো উদ্ভিদের বৃদ্ধি হয়নি। শুধু বৃদ্ধি নয়, ওই চরম শীতল আবহাওয়ায় ফুলও ফুটতে শুরু করেছে। অ্যান্টার্কটিকার বুকে ফুল ফোটা আদতে জলবায়ু পরিবর্তনেরই ইঙ্গিত দেয়। তা না হলে বরফে ঢাকা মহাদেশটিতে ফুল ফোটা এক প্রকার অসম্ভব। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সিগনি দ্বীপে দুই ধরনের উদ্ভিদ জন্মাতে দেখা গেছে। তাতে ফুল ফুটেছে। ১৯৬০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলে যে হারে এই উদ্ভিদের জন্ম হয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত তার ১০ গুণ উদ্ভিদ জন্মেছে। অ্যান্টার্কটিকায় অন্য ধরনের উদ্ভিদের জন্মের হারও বেড়েছে।

মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের তুলনায় এখন ওই অঞ্চলে বিভিন্ন উদ্ভিদ বেড়েছে পাঁচগুণ। সারা বছর হিমাঙ্কের অনেক নিচে তাপমাত্রা থাকে অ্যান্টার্কটিকায়। সে কারণে মস, লিচেন জাতীয় শৈবাল ছাড়া তেমন কোনো উদ্ভিদ জন্মায় না সেখানে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন জলবায়ু পরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে সেখানে নতুন ধরনের উদ্ভিদের জন্ম হচ্ছে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, নতুন এই উদ্ভিদের বৃদ্ধির কারণে চিরতরে সেখান থেকে অবলুপ্ত হতে পারে সেখানের স্থানীয় উদ্ভিদগুলো। এমনকি মাটির চরিত্রও বদলে যেতে পারে বলে মত গবেষকদের। এই ধরনের উদ্ভিদ পচে মাটির সঙ্গে মিশলে মাটির অম্লত্বের পরিমাণ বদলে যেতে পারে। তাতে নতুন ধরনের ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে।

তার প্রভাব পড়তে পারে পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রে। অ্যান্টার্কটিকার বুকে এই ফুল প্রথম লক্ষ্য করেন অস্ট্রেলিয়ার ওলংগং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। তারা দেখেন, অ্যান্টার্কটিকায় মূলত দুই ধরনের উদ্ভিদের বৃদ্ধি হচ্ছে আগের তুলনায় বেশি হারে। প্রথমদিকে নির্দিষ্ট একটি অঞ্চলে দেখা যেত এই উদ্ভিদ। এখন তার বাইরেও বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যাচ্ছে এই উদ্ভিদ। গত ২০ বছর ধরে অ্যান্টার্কটিকায় খুব ধীরে ধীরে এই উদ্ভিদের প্রসার লক্ষ্য করছেন বিজ্ঞানীরা। আগে ঠান্ডার কারণে এই উদ্ভিদ খুব বেশিদিন বাঁচত না। সম্প্রতি তার আয়ুষ্কাল বেড়েছে। ফুলও ফুটছে। এই পরিবর্তনের কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা বিশ্ব উষ্ণায়নের পাশাপাশি মানুষকেও দায়ী করেন। তাদের মতে, অ্যান্টার্কটিকায় গবেষকদের সঙ্গে অভিযাত্রীদের আনাগোনাও বেড়েছে। তাদের পায়ে পায়েই এই উদ্ভিদের বীজ ছড়িয়ে পড়েছে বহু দূর। সে কারণে এর বংশবৃদ্ধি হচ্ছে। -টাইমস অব ইন্ডিয়া