
ক্লিশচিভকা গ্রাম দখলমুক্ত করার পর জাতীয় পতাকা হাতে ইউক্রেনীয় সেনারা
কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ গ্রাম ক্লিশচিভকাকে দখলমুক্ত করার দাবি করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। তাদের ভাষ্য, রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান পাল্টা হামলায় শহরটির নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছে তারা। ক্লিশচিভকার অবস্থান পূর্বাঞ্চলীয় নগর বাখমুত থেকে দক্ষিণে। এ নিয়ে তিন দিনে পূর্বাঞ্চলে দুটি গ্রাম দখলমুক্ত করার দাবি করল ইউক্রেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিজেদের পক্ষে সমর্থন জোরালো করতে আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটন সফরে যাবেন। এমন সময়ে যুদ্ধক্ষেত্রে এই জয়কে ইউক্রেনের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
ইউক্রেন সেনাবাহিনীর স্থল অভিযান পরিচালনাকারী দলের কমান্ডার ওলেকসান্দর সিরস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে বলেন, ‘ক্লিশচিভকাকে রুশ বাহিনীর কাছ থেকে মুক্ত করা হয়েছে।’ রবিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় বাখমুতের কাছে লড়াইরত সেনাদের প্রশংসা করেছেন জেলেনস্কি। বিশেষ করে যারা ক্লিশচিভকাকে দখলমুক্ত করেছেন, তাদের উদ্দেশে তিনি ‘শাবাশ’ উচ্চারণ করে বাহবা দেন। জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের জন্য নতুন প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আকাশ প্রতিরক্ষা ও গোলাবারুদকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তবে তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করেননি।
ইউক্রেন এমন সময় ক্লিশচিভকা দখলমুক্ত করার দাবি করল, যখন জ্যেষ্ঠ দুই পশ্চিমা কর্মকর্তা যুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাদের একজন জেনারেল মার্ক মিলে। মার্কিন সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ এই কর্মকর্তা বলেন, রুশ বাহিনী থেকে উৎখাত করাটা খুব কঠিন হবে। তবে ইউক্রেন পাল্টা হামলায় ব্যর্থ হয়েছে বলে অনেকে দাবি করে থাকলেও তা মানতে রাজি নন মিলে। তিনি মনে করেন, এখনো যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার মতো প্রচুর সক্ষমতা ইউক্রেনের আছে। -এএফপি