সফলভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণের পরই আনন্দ-উল্লাসে ফেটে পড়েন নারী বিজ্ঞানী-প্রকৌশলীরা।
চাঁদের অনাবিষ্কৃত দক্ষিণ মেরুতে গতকাল বুধবার পা রাখল ভারতের চন্দ্রযান-৩। এর মাধ্যমে ইতিহাস গড়ল ভারত।
আর এই সাফল্যের নেপথ্যে ছিলেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) একদল উদ্যোমী বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী। আর তাদের মধ্যে ৫৪ জনই ছিলেন নারী।
আরও পড়ুন:ছবিতে ভারতের চাঁদ জয়ের গল্প
সব বাধা পেরিয়ে তারাও আপন যোগ্যতাবলে সফল হতে পারেন- এটিই যেন বুঝিয়ে দিলেন ইসরোর নারীরা। বুধবার চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণের পরই আনন্দ-উল্লাসে ফেটে পড়েন ইসরোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বাদ যাননি নারীরাও। তাদের সেই উল্লাসের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে।
শাড়ি পরা এসব নারীর দিকে ইঙ্গিত করে কেউ কেউ বলেছেন, কাজের ক্ষেত্রে পোশাক কোনো বাধা নয়। আবার কেউ বলেছেন, বইকে যেমন তার মলাট দিয়ে বিবেচনা করা যায় না, তেমনি পোশাক দিয়ে মানুষকে।
ভারতের চন্দ্রাভিযান মিশনে মোট ৫৪ জন নারী বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলী সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। তারা সহযোগী পরিচালক, উপ-প্রকল্প পরিচালক এবং বিভিন্ন সিস্টেমের প্রকল্প ব্যবস্থাপকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইসরোর এক কর্মকর্তা।
চাঁদে ভারতের উচ্চাভিলাষী মিশনের পেছনে প্রধান মস্তিষ্ক হিসেবে বিবেচনা করা হয় ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমানাথকে। এটি ছাড়াও গগনযান (যাত্রীবাহী মিশন) এবং আদিত্য-এল ১ (সূর্য মিশন)সহ আরও অনেক মিশনে অবদান রয়েছে এস সোমানাথের।
তিনি ছাড়াও এই চন্দ্রাভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল চন্দ্রযান-৩ প্রকল্পের পরিচালক পি ভিরামুথুভেল, মিশন পরিচালক মোহনা কুমার, বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের পরিচালক এস উন্নীকৃষ্ণান নায়ার, ইউ আর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারের পরিচালক এম শঙ্করন, লঞ্চ অথরাইজেশন বোর্ডের (ল্যাব) প্রধান এ রাজারাজন এবং সহযোগী প্রকল্প পরিচালককে কল্পনার।
এম হাসান