ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নাইজিরিয়ায় ইমামসহ ১২ জন নিহত

মসজিদে বন্দুক হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:২২, ৫ ডিসেম্বর ২০২২

মসজিদে বন্দুক হামলা

বন্দুক হামলার পর টহলে নাইজিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী

আফ্রিকার সর্বাধিক জনবহুল দেশ নাইজিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের একটি মসজিদে হামলা চালিয়ে সেখানকার ইমামসহ অন্তত ১২ জন মুসল্লিকে হত্যা করেছে বন্দুকধারীরা। স্থানীয় সময় রবিবার রাতে এশার নামাজের সময় মসজিদে হামলার পর আরও ১৯ জন মুসল্লিকে অপহরণ করেছে বন্দুকধারীরা। খবর এএফপির।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে সোমবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। মসজিদে হামলা চালানোর পর ১৯ মুসল্লিকে অপহরণ করেছে বন্দুকধারীরা। দেশটির উত্তর-পশ্চিমের প্রত্যন্ত এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশের মুখপাত্র গাম্বো ইসাহ বলেন, গুলি চালিয়ে ইমাম ও অন্য মুসল্লিদের আহত করে এই অপহরণের ঘটনা ঘটানো হয়।
গাম্বো ইসাহ বলেন, পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের সেখানে পাঠানো হয়েছে এবং তারা দস্যুদের ধাওয়া করে। অপহরণকারীদের হাত থেকে ছয়জন মুসল্লিকে তারা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। বাকি ১৩ জনকে উদ্ধারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, আহত দুই ব্যক্তিকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে দস্যু নামে পরিচিত এই অপরাধী চক্রের তৎপরতার কারণে উত্তর-পশ্চিম ও মধ্য নাইজিরিয়ার বাসিন্দারা তটস্থ থাকেন।

এই দস্যুরা গ্রামে হামলা চালিয়ে গবাদিপশু নিয়ে যায়, মুক্তিপণের জন্য লোকজনকে অপহরণ করে এবং জিনিসপত্র লুটের পর বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়। সাধারণত অপরাধী চক্রকে মুক্তিপণ দেওয়ার পর বন্দিরা ছাড়া পান। চক্রটি বিশাল রুগু বনে আস্তানা গড়ে তুলেছে। এই বনটি কাতসিনাসহ উত্তর-পশ্চিম নাইজিরিয়ার চারটি রাজ্যে বিস্তৃত। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত মাসে পার্শ্ববর্তী কাদুনা রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে দস্যুদের একের পর এক হামলায় ১৫ জন নিহত হন। আহত হন কয়েকজন। এই সহিংসতা বন্ধে নাইজিরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহাইরি ব্যাপক চাপে আছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে আট বছর মেয়াদ শেষে আগামী বছর তিনি দায়িত্ব ছাড়তে যাচ্ছেন।
দেশটির প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ বুহারির নিজ প্রদেশ ক্যাটসিনার ফুন্তুয়া এলাকার বাসিন্দা লাওয়াল হারুনা বলেন, বন্দুকধারীরা মোটরসাইকেলে করে মাইগামজি মসজিদে আসে এবং এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। যে কারণে মুসল্লিরা মসজিদ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। রাতে এশার নামাজের সময় গোলাগুলির মাঝে পড়ে অন্তত ১২ জন মারা গেছেন।

নিহতদের মধ্যে মসজিদের প্রধান ইমামও আছেন বলে জানিয়েছেন হারুনা। ফুন্তুয়ার আরেক বাসিন্দা আব্দুল্লাহি মোহাম্মদ বলেন, হামলাকারীরা মসজিদ থেকে অনেক লোকজনকে জড়ো করে এবং ঝোপের কাছে নিয়ে যায়। অপহরণ করা নিরীহ লোকদের মুক্তির জন্য তাদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি। ক্যাটসিনা পুলিশের মুখপাত্র গাম্বো ইসাহ হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, সরকার-সমর্থিত প্রহরী কিছু বাসিন্দার সহায়তায় কয়েক জন মুসল্লিকে উদ্ধার করা হয়েছে। নাইজিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমের ক্যাটসিনাসহ কয়েকটি প্রদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী নাইজারের সীমান্ত রয়েছে। আর এই সীমান্ত ব্যবহার করে সংঘবদ্ধ সশস্ত্র দস্যুরা দুই দেশের মাঝে অবাধে চলাচল করে।

×