ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জাপানে ন্যান্সি পেলোসি

তাইওয়ানকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হতে দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ২৩:০৩, ৫ আগস্ট ২০২২

তাইওয়ানকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হতে দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

.

তাইওয়ানকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হতে দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পীকার ন্যান্সি পেলোসি। শুক্রবার জাপানে এক সংবাদ সম্মেলনে পেলোসি এমন মন্তব্য করেন। এদিকে, তার সফরকে কেন্দ্র করেই তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক মহড়া শুরু করে চীন, যা শুক্রবারও দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে। খবর সিএনএনের।  
পেলোসি অভিযোগ করে বলেন, চীন তাইওয়ানকে সারাবিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে চায়। তবে তারা মার্কিন কর্মকর্তাদের সফর থামাতে পারবে না।  
বুধবার তাইওয়ান সফরে যান পেলোসি। সেখানে তিনি দ্বীপটির প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনসহ অন্য নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এতেই ক্ষুব্ধ হয় চীন সরকার। পেলোসির সফরের আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিয়ে রেখেছিল চীন। তবে পেলোসি এসব হুমকির মধ্যেই তাইওয়ান সফর করেন।  
বৃহস্পতিবার পেলোসির সফরের জেরে ২২টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশ সীমায় পাঠায় চীন। পাশাপাশি তাইওয়ান প্রণালীতে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বেজিং। ১৯৪৯ সালে কমিউনিস্টরা ক্ষমতা দখল করার পর তাইওয়ান চীনের মূল ভূখ- থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যদিও তাইওয়ানকে বরাবরই নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করে থাকে বেজিং।  
দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা ॥ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পীকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে উত্তেজনা কাটতে না কাটতেই এবার কোরীয় উপদ্বীপে তার সফর নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে তাইওয়ান সফর শেষে বুধবার তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছান। বৃহস্পতিবার তিনি কোরীয় সীমান্তের সুরক্ষিত ডিমিলিটারাইজড জোন (ডিএমজেড) পরিদর্শন করেন। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের সঙ্গে তার সরাসরি সাক্ষাত হয়নি।
দক্ষিণ কোরিয়ার একজন কর্মকর্তা বলেন, পেলোসি বুধবার রাতে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে পৌঁছানোর পর দেশটির পার্লামেন্ট জাতীয় পরিষদের স্পীকার কিম জিন-পিওসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। পরদিন তিনি পারমাণবিক ক্ষমতাধর উত্তর কোরিয়ার সীমান্তের ডিএমজেড এলাকায় যান। তিনি আলোচিত পানমুনজাম ও জয়েন্ট সিকিউরিটি এরিয়া পরিদর্শন করেন। ২০১৯ সালের পর সর্বোচ্চ পদধারী মার্কিন কর্মকর্তা হিসেবে তিনি সেখানে গেলেন। ওই সীমান্তে উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার সেনারা মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে।

×