
ছবি: সংগৃহীত
অধিকৃত পশ্চিম তীরে একযোগে ছড়িয়ে পড়া সামরিক অভিযানে বহু নগরীর অর্থবিনিময় দোকানে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। নাবলুসে চালানো হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছে। রামাল্লা, হেবরন, বেইত লাহিয়া, তুবাস, আররাবাহসহ বহু শহরের অর্থলগ্নি ও স্বর্ণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়েছে।
নাবলুসে ‘আল-খালিজ’ এক্সচেঞ্জ কোম্পানির কার্যালয় ও একটি স্বর্ণের দোকানেও অভিযান চালানো হয়। এসময় সৈন্যরা তাজা গুলি ও টিয়ার গ্যাস ছোড়ে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, নাবলুসে গুলিতে একজন নিহত হন এবং আরও আটজন আহত হন। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানায়, তারা ২০ জনকে টিয়ার গ্যাস ও তিনজনকে রাবার বুলেটের আঘাতে চিকিৎসা দেয়।
ইসরায়েলি সেনা রেডিও জানিয়েছে, অভিযানে “সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের” সন্দেহে অর্থলগ্নি দোকানগুলোতে অভিযান চালানো হয় এবং প্রচুর অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়। তবে আল-খালিজ কোম্পানির মালিকরা বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী কোনো ধরনের প্রমাণ দেখায়নি।
এই অভিযানের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে হামাস। তারা একে ফিলিস্তিনি জনগণের জীবিকা, অর্থনীতি এবং অস্তিত্বের ওপর “মুক্ত যুদ্ধের” নতুন ধাপ বলে অভিহিত করেছে। হামাস বলেছে, এসব কোম্পানি বৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছিল এবং লুটপাট ও দখলদারি নীতির অংশ হিসেবে ইসরায়েল এই হামলা চালিয়েছে।
এছাড়া ফিলিস্তিনি মুজাহিদিন মুভমেন্টও এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, “এটি আমাদের অস্তিত্ব ও ন্যায্য দাবির বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ।” তারা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে “ইসরায়েলি আগ্রাসন ঠেকাতে এবং নিরাপত্তা সমন্বয়ের নীতি পরিত্যাগে” আহ্বান জানিয়েছে।
এই অভিযান ইসরায়েলি বাহিনীর চতুর্থ দফা অর্থলগ্নি দোকানে হামলার ঘটনা। এর আগে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৩০ লাখ ডলার জব্দ করেছিল তারা। এরপর ২০২৪ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরেও একই ধরনের অভিযান চালানো হয়েছিল।
এই পরিস্থিতি যখন চলছে, তখন গাজার ৫৪ হাজারের বেশি মানুষ ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রাণ হারিয়েছে এবং কয়েক লাখ মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। পশ্চিম তীরেও এখন ইসরায়েলি বাহিনী একই ধরনের নিপীড়ন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
এসএফ