ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

সংঘাত অবসানে আজ মালয়েশিয়ায় বৈঠক

মধ্যস্থতায় রাজি থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:০৭, ২৭ জুলাই ২০২৫

মধ্যস্থতায় রাজি থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া

কম্বোডিয়ায় একটি বিদ্যালয় শিবিরে দান করা পানি নিতে লোকজন জড়ো হয়

সীমান্ত সংঘাতের অবসানে মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতার প্রস্তাবে রাজি হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই দেশ থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়া। রবিবার মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই তথ্য জানিয়েছেন। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্ত সংঘাতের অবসানে মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতাকারী হওয়ার প্রস্তাবে রাজি হয়েছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। যদিও সীমান্তের বিতর্কিত এলাকায় উভয়পক্ষ নতুন করে গোলাবর্ষণ করেছে বলে পাল্টাপাল্টি দাবি করেছে দুই দেশই।

মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা বারনামাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান বলেছেন, সোমবার সন্ধ্যায় কুয়ালালামপুরে পৌঁছাবেন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত ও থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই। খবর বারনামার।
তিনি বলেন, তারা মালয়েশিয়ার ওপর সম্পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন এবং আমাকে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনের অনুরোধ করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান বলেন, তিনি কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তারা এই ইস্যুতে অন্য কোনো দেশের সংশ্লিষ্ট হওয়া উচিত নয় বলে জানিয়েছেন। এর আগে শুক্রবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের চেয়ারম্যান মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মাঝে চলমান লড়াইয়ের অবসানে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন। এমনকি এশিয়ার নতুন এই সংঘাতের অবসানে উভয় দেশের প্রতি আহ্বান জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শনিবার তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতি নিয়ে কাজ করতে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতারা সম্মত হয়েছেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হওয়ায় চারদিনে প্রাণহানির সংখ্যা ৩০ ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে থাইল্যান্ডে ১৩ বেসামরিক নাগরিক এবং কম্বোডিয়ায় ৮ জন নিহত হয়েছেন। দুই দেশের সীমান্ত অঞ্চল থেকে দুই লাখেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এদিকে সীমান্তে তিনদিন ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর অবশেষে শান্তি আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে উত্তপ্ত রণক্ষেত্র থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার বিরোধ নিরসনে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত ও থাইল্যান্ডের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ফুমথম উভয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

প্যানেল হু

আরো পড়ুন  

×