
চীন মাত্র ১৫ বছরে বিশ্বের বৃহত্তম উচ্চ‑গতির রেল নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে। বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ৪৭,০০০ কিমি (১৪৭,০০০ মাইল) হাই‑স্পিড ট্র্যাক চালু রয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী এই ধরনের রেলের প্রায় ২/৩ অংশ ধারণ করে ।
চীনের রেল বিপ্লবের সূচনা:
-
২০০৩ সালে কুইনহুয়াংদাও–শেনিয়াংশি রুট দিয়ে উচ্চ‑গতির রেল পরিকল্পনা শুরু ।
-
প্রথম যাত্রী‑উদ্দিষ্ট সেবা আসে ২০০৮ সালে, এবং তখন থেকেই নেটওয়ার্ক ব্যাপকভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ।
নেটওয়ার্কের বিশদ:
-
২৩টি প্রদেশ ও হংকং-এ পৌঁছেছে, ম্যাকাও বাদে প্রায় সর্বত্র ছড়িয়ে আছে ।
-
গুরুত্বপূর্ণ লাইনের মধ্যে রয়েছে:
-
বেইজিং–সাংহাই (১,৩১৮ কিমি, ২৪ স্টেশন)
-
বেইজিং–গুয়াঙঝৌ–শেনঝেন: বিশ্বের দীর্ঘতম একক‑ফেজে নির্মিত একটি রুট ।
-
উহান–গুয়াঙঝৌ: প্রায় ৯৬৮ কিমি, ২০০৯ সালে চালু ।
-
গ্লোবাল গুরুত্ব ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা:
-
আগামী বছর নেটওয়ার্কের দৈর্ঘ্য ৫০,০০০ কিমি ছাড়াতে চলেছে ।
-
আগামি দশকে চীনের উচ্চ‑গতির রেলে বিনিয়োগের সম্ভাবনা $৯০০ বিলিয়নের কাছাকাছি।
-
বিশ্বব্যাপী এই নেটওয়ার্ক ‘এক্সপোর্টযোগ্য’ অবকাঠামোর উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে ।
ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য:
-
যাত্রাবিন্যার সময় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে: বেইজিং–সাংহাই রুটে মাত্র ~৪.৫ ঘণ্টা ।
-
দেশের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ, অর্থনৈতিক সংহতি ও পরিবেশ‑বান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা আরো দৃঢ় হচ্ছে ।
বিতর্ক ও চ্যালেঞ্জ:
-
নির্মাণ খরচ প্রায় $৫০০ বিলিয়ন ও ঋণের পরিমাণ প্রায় $১ ট্রিলিয়ন পৌঁছাতে চলেছে ।
-
জনসংখ্যার হ্রাস পরবর্তীতে গুণগত ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, বিশেষত যেগুলো আশেপাশে জনবহুল নয় ।
Jahan