
ইরানের জন্য জ্বালানি তেল চোরাচালান বর্তমানে একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় ইরানে জ্বালানি তেলের দাম অনেক কম হওয়ায় চোরাচালানকারীরা অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় তেল পাচার করছে। এই চোরাচালান তৎপরতা সাম্প্রতিক সময়ে স্থল ও জলপথে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ইরানের নিরাপত্তা ও অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করছে।
ইরানের নৌবাহিনী সম্প্রতি পারস্য উপসাগরে এক সফল অভিযানে চারটি তেল ট্যাংকার জব্দ করেছে। এগুলোর মধ্যে ১০০০ লিটার চোরাই তেল পাচার করা হচ্ছিল। ইরানের হরমুজগান প্রদেশের মিনাপ কাউন্টির সরকারি কৌশলী ইব্রাহিম তাহিরি জানিয়েছেন, নৌবাহিনীর টহল দল এবং মেরিন কমান্ডো ইউনিটের সহায়তায় এই অভিযান পরিচালিত হয়। একই ধরনের আরও একটি অভিযান ৩১ মার্চে ছিল, যেখানে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী দুটি বিদেশি ট্যাংকার আটক করে, যেগুলোর ভেতরে ছিল ৩০,০০,০০০ লিটারের বেশি চোরাই ডিজেল। সেসময় ২৫ জন ক্রু গ্রেফতার করা হয়েছিল।
বিশ্বের অন্যতম কম জ্বালানি মূল্যবান দেশ হিসেবে ইরান সরকারের ভর্তুকির কারণে, সেখানে ডিজেল এবং পেট্রোলের দাম আশপাশের দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে চোরাচালান চক্র সক্রিয়ভাবে বিপুল পরিমাণ তেল পাচার করছে। এতে বছরে কোটি কোটি ডলার রাষ্ট্রীয় সম্পদ হারাচ্ছে ইরান, যা দেশটির তেলভিত্তিক অর্থনীতির জন্য এক বড় ধরণের হুমকি।
বিশ্ববাজারে ইরানের তেল সরবরাহের ঘাটতি তেলের দাম বৃদ্ধি ঘটাচ্ছে, বিশেষত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে। তেল চোরাচালানকে প্রতিরোধ করার জন্য ইরান সরকার কঠোর নজরদারি ও কৌশল অবলম্বন করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধুমাত্র জ্বালানির মূল্য নীতি এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা ছাড়া এই চোরাচালান প্রতিরোধ করা কঠিন হয়ে পড়বে।
রাজু