ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২

‘আমি মনে করি এটা হাস্যকর’ – ইলন মাস্কের ‘আমেরিকা পার্টি’ নিয়ে ট্রাম্পের কটাক্ষ

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ৭ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ০৯:৩৭, ৭ জুলাই ২০২৫

‘আমি মনে করি এটা হাস্যকর’ – ইলন মাস্কের ‘আমেরিকা পার্টি’ নিয়ে ট্রাম্পের কটাক্ষ

ছ‌বি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রোববার ইলন মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি মাস্কের ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠনের পরিকল্পনাকে “হাস্যকর” বলে মন্তব্য করেছেন।

নিউ জার্সির গলফ ক্লাব থেকে ওয়াশিংটন ফেরার পথে ট্রাম্প বলেন, “আমি মনে করি তৃতীয় কোনো পার্টি গঠন করা হাস্যকর। এটি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিকে বিভ্রান্ত করবে। আমাদের দেশে সবসময়ই দুই-দলের প্রথা চলে আসছে। তৃতীয় দল কোনোদিনই সফল হয়নি।”

দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া ইলন মাস্ক আগের দিন শনিবার ঘোষণা দেন যে, তিনি "আমেরিকা পার্টি" নামের একটি নতুন দল গঠন করবেন, যাতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত "একদলীয় শাসনব্যবস্থা"র বিরোধিতা করতে পারেন।

মাস্ক অভিযোগ করেন, ট্রাম্পের নেতৃত্বে তৈরি করা বিশাল ঘরোয়া ব্যয় পরিকল্পনা দেশের ঋণ বেড়ে দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি করছে। তিনি বলেছেন, যারা এই বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, তাদের হারাতে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।

কিছুদিন আগেও মাস্ক ও ট্রাম্প একসাথে কাজ করতেন। মাস্ক ছিলেন “Department of Government Efficiency (DOGE)” নামের এক ব্যয় কমানোর শাখার প্রধান। কিন্তু ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল’ বাজেট বিলকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ দেখা দেয়।

এই নিয়ে ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশাল প্ল্যাটফর্মে আরও এক ধাপ এগিয়ে মাস্ককে “ট্রেন দুর্ঘটনা” বলে কটাক্ষ করেন। তিনি লেখেন, “গত পাঁচ সপ্তাহে ইলন মাস্ক পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। তৃতীয় দল মানেই বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলা – আর আমাদের এখন এর কোনো প্রয়োজন নেই।”

ট্রাম্প দাবি করেন, মাস্ক তার টেসলা কোম্পানির ভর্তুকি কমে যাওয়াতেই ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন। তবে মাস্ক বলেন, তার মূল উদ্বেগ দেশকে ঋণের বোঝায় ডুবিয়ে দেওয়া নিয়ে।

রোববার সকালে ট্রাম্প প্রশাসনের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টও মাস্কের রাজনৈতিক উদ্যোগ নিয়ে সমালোচনা করেন। তিনি সিএনএনকে বলেন, “আমার ধারণা তার কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদ চায়, সে আবার নিজের ব্যবসায় মনোযোগ দিক। রাজনীতি নয়।”

গত মে মাসে মাস্ক DOGE থেকে পদত্যাগ করেন এবং টেসলা ও অন্যান্য কোম্পানিতে পুরোপুরি মনোযোগ দেন। ট্রাম্প তখন তাকে হোয়াইট হাউজে বিদায় জানান এক অদ্ভুত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে, যেখানে মাস্ক একটি সোনালি চাবি উপহার পান এবং তার চোখে কালশিটে দাগ ছিল।

তবে কয়েক দিনের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের মধ্যে তীব্র বাক-বিনিময় শুরু হয়। মাস্ক ট্রাম্পের ব্যয় পরিকল্পনার সমালোচনা করলে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়।

রোববার ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তিনি কি মাস্ককে দেওয়া সোনালি চাবি ফিরিয়ে নিতে চান? তবে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

সূত্র: এনডিটিভি

এম.কে.

×