ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

নিউইয়র্কে “ভালোবাসায় বসন্ত উৎসব”

প্রকাশিত: ১৫:৫৭, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

নিউইয়র্কে “ভালোবাসায় বসন্ত উৎসব”

আর জে প্রোডাকশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ভালোবাসায় বসন্ত উৎসব। 

“ভ্যালেন্টাইন্স ডে” কে সামনে রেখে গতকাল ১০ই ফেব্রুয়ারী শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের বাফেলো শহরে আর জে প্রোডাকশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ভালোবাসায় বসন্ত উৎসব। 

১২০ আলেকজান্ডার এভিনিউয়ে অবস্থিত কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হওয়া ভালোবাসায় বসন্ত উৎসব অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিলেন টেলিভিশন তারকা নাট্যাভিনেতা টনি ডায়েস ও প্রিয়া ডায়েসের মনোমুগদ্ধকর অভিনয় ও জমজমাট নাচ। এছাড়া কবিতা আবৃতি, নাচ ও গানের তালে তালে অনুষ্ঠানটি ছিল অত্যন্ত উপভোগ্য।

অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও প্রধান অতিথি হিসাবে সম্মান জানানো হয়েছে নিউইয়র্ক থেকে আগত আলেগ্রা হোমকেয়ার সার্ভিস এবং বাংলা সিডিপ্যাপ সার্ভিসের কর্ণধার ড: আবু জাফর মাহমুদকে। বিকেল থেকে রাত এগারোটা অবদি চলতে থাকা মনোমুগ্ধকর এই অনুষ্ঠানে প্রায় সহস্রাধিক প্রবাসীদের আগমন ঘটে। আগত সকল শিল্পীদের গান, কবিতা আবৃতি, নাচের আসর ছিল ভীষণভাবে উপভোগ্য তবে কয়েকজন শিল্পীর হিন্দি গানের তালে তালে সকলকে আনন্দ দেয়াকে কিছুটা দৃষ্টিকটু মনে হয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলাদেশী আয়োজকদের অনুষ্ঠানে হিন্দি গান গাওয়াটাকে দর্শকরা সুন্দরভাবে গ্রহণ করেননি। অনেকেই প্রকাশ্যে কিংবা অপ্রকাশ্যে প্রতিবাদ করেছেন।

প্রথমেই কোরআন শরীফ তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সংগীত বাজিয়ে শুরু হয় কবিতা আবৃতি। এরপরে ধাপে ধাপে নাচ ও গানের মাধ্যমে একটি উপভোগ্য অনুষ্ঠান হিসাবে দর্শকের জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। অনেক শিল্পীদের মাঝে উল্লেখযোগ্য শিল্পী হিসাবে গান পরিবেশন করেছেন স্থানীয় শিল্পী হাফিজুর রহমান হাফিজ, বিশ্বজিৎ দত্ত সহ বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের নামিদামি শিল্পীবৃন্দরা।

অনুষ্ঠানে বক্তব্যের তেমন কোন বালাই না থাকলেও প্রধান অতিথি ড: আবু জাফর মাহমুদ প্রবাসী সকলকে তাদের নিজস্ব সাহিত্য, কৃষ্টি ও কালচার ধরে রাখার আহবান জানান। তিনি বলেন জন্মের পরে আমরা মুসলিম হিসাবে শুনেছি আজানের ধ্বনি আর হিন্দুরা শুনেছে উলু ধ্বনি তাই এটাই আমাদের কৃষ্টি ও কালচার। এটাকে ধরে রাখাই আমাদের কালচার, পরিবারকে ভালোবাসায় আগলে রাখা আমাদের অহংকার। দেশে এবং বিদেশের মাটিতে আমাদের নিজস্ব পরিচয় ধরে রাখতে হবে।

প্রায় ডজন খানেক স্টল ছিল আনন্দের আরেকটি স্তর। কেওবা ফুসকা, ঝালমুড়ি, বিরিয়ানি বিক্রি করছিলো কেওবা আবার শাড়ী, লুঙ্গি, গহনা। সব মিলিয়ে বেশ আনন্দের একটি বিকেল পেয়েছিলো বাফেলো বাসিরা। অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা ছিল চোখে পরার মতো, গাড়ী পার্কিং থেকে শুরু করে অনুষ্ঠানস্থল পর্যন্ত সকলেই নিরাপত্তা বেষ্টনীতে নির্দ্বিধায় শিশুদের নিয়ে সময় কাটাতে পেরেছেন।

উল্লেখ্য: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের বাফেলো শহর বাংলাদেশিদের পদচারণায় মুখরিত একটি শহর। দ্রুততম সময়ে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশী কমিউনিটিতে আস্তে আস্তে সব কিছুই মিলে যাচ্ছে। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ইনশাল্লাহ অচিরেই বাফেলো হয়ে উঠবে সকল প্রবাসীদের স্বপ্নের শহর।

তাসমিম

×