ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সুদানে ৭ দিনের যুদ্ধবিরতি

প্রকাশিত: ১১:১৪, ২১ মে ২০২৩

সুদানে ৭ দিনের যুদ্ধবিরতি

সুদান যুদ্ধ

সুদানে সামরিক বাহিনীর সাথে দেশটির আধা-সামরিক বাহিনীর সংঘাত বন্ধে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে উভয়পক্ষ। এ প্রেক্ষিতে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে। যুদ্ধবিরতি শুরু হবে ২২ মে সন্ধ্যা থেকে। 

সৌদি আরবের জেদ্দায় গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে আলোচনা শেষে যৌথ বিবৃতিতে এ খবর জানানো হয়।

খার্তুমে গতকাল বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ হয়েছে। সশস্ত্র কয়েকজন কাতারের দূতাবাসে ভাঙচুর চালিয়েছে। মানবিক বিরতিতে সম্মত হওয়ার পরও সুদানে সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে সংঘর্ষ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, যুদ্ধবিরতি সাত দিনের জন্য কার্যকর থাকবে। উভয় পক্ষ সম্মত হলে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ আরও বাড়তে পারে।

পাঁচ সপ্তাহ ধরে সুদানে সংঘর্ষ চলছে। সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে বেশ কয়টি চুক্তি ঘোষণা করা হলেও কোনোটাই কার্যকর হয়নি। সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এমন তথ্য জানিয়েছে।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জেদ্দায় চুক্তিটিতে উভয় পক্ষ সই করেছে। যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি ও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী সমর্থন দিয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতিতে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা ও উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ চলাফেরা, সরকারি চাকরিজীবীদের দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।

ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে গত ১৫ এপ্রিল সুদানের সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান ও তাঁর সাবেক উপপ্রধান মোহাম্মেদ হামদান দাগলোর বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এই সংঘর্ষে কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। গৃহহীন হয়েছে ১০ লাখের বেশি মানুষ।

সুদানে চলমান সংঘাতের এক পক্ষে রয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। অপর পক্ষে আছেন আরএসএফের প্রধান সাবেক মিলিশিয়া নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো ওরফে হেমেদতি। এই দুই জেনারেল একত্র হয়ে ২০২১ সালে একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সুদানের ক্ষমতা দখল করেছিলেন।

কিন্তু আরএসএফকে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে একীভূত করা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে। আরএসএফকে সামরিক বাহিনীতে একীভূত করার সময় কে সামরিক বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ হবেন, তা নিয়ে, অর্থাৎ ক্ষমতার দ্বন্দ্বে তাঁদের মধ্যে লড়াই শুরু হয়।

সূত্র: এএফপি

টিএস

×