ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২

নীরব ঘাতক কোলন ক্যান্সার থেকে দূরে থাকতে চান?মেনে চলুন এই ৩টি সহজ নিয়ম

প্রকাশিত: ০৩:৪২, ২১ জুলাই ২০২৫

নীরব ঘাতক কোলন ক্যান্সার থেকে দূরে থাকতে চান?মেনে চলুন এই ৩টি সহজ নিয়ম

কোলন ক্যান্সার বা বৃহদান্ত্রের ক্যান্সার বিশ্বজুড়ে দ্রুত বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসে সামান্য পরিবর্তন এনেই এই মারাত্মক রোগের ঝুঁকি অনেকটা কমানো সম্ভব। চলুন জেনে নিই, চিকিৎসক ও পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর তিনটি অভ্যাস।


১. প্রতিটি খাবারে রাখুন ফাইবার

ফাইবার বা আঁশসমৃদ্ধ খাবার অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায় অমূল্য। চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন প্রতিটি খাবারে যেন অন্তত কিছু পরিমাণে আঁশ থাকে। শাকসবজি, ডাল, ওটস, ফলমূল, বাদাম ও বীজজাত খাবার থেকে সহজেই ফাইবার পাওয়া যায়।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতি সপ্তাহে ৩০ রকমের উদ্ভিদজাত খাবার খেয়ে থাকেন, তাদের অন্ত্রে বেশি বৈচিত্র্যময় উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।

ভারতীয় উপমহাদেশের অনেক খাবার যেমন ডাল, ছোলা, মসুর ও মসলা—এগুলিও অন্ত্রের পক্ষে খুবই উপকারী।


২. অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবারকে না বলুন

সুস্বাদু হলেও প্রক্রিয়াজাত খাবার আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। প্যাকেটজাত স্ন্যাকস, কৃত্রিম স্বাদ ও রঙযুক্ত প্রোটিন বার, ইনস্ট্যান্ট ফুড কিংবা প্যাকেটের পিৎজায় থাকা উপাদানগুলি অন্ত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
এমন খাবারে থাকা ইমালসিফায়ার, গাম বা রাসায়নিক সংযোজক অন্ত্রের সুক্ষ্ম জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “যখনই সম্ভব, প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদ দিয়ে প্রাকৃতিক ফল বা ঘরে তৈরি খাবার বেছে নিন।”


৩. শরীরচর্চায় রাখুন নিয়মিততা

শুধু ওজন কমানো নয়, নিয়মিত ব্যায়াম অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্যও দারুণ উপকারী। এটি পাচনতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে, খাবার দ্রুত হজমে সাহায্য করে এবং বিষাক্ত উপাদান কোলনে দীর্ঘক্ষণ জমে থাকতে দেয় না।

গবেষণায় উঠে এসেছে, যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন তাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা ও বৈচিত্র্য দুটোই বেশি।

চিকিৎসকরা অন্তত সপ্তাহে ১৫০ মিনিটের মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম বা হাঁটা অনুশীলনের পরামর্শ দেন।


কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে ও সুস্থ অন্ত্রের জন্য জটিল কোনো নিয়ম মানার দরকার নেই। শুধুমাত্র ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এড়িয়ে চলা এবং প্রতিদিন কিছুটা ব্যায়াম—এই তিন অভ্যাসই হতে পারে বড় সুরক্ষা।

Mily

×