
ছবিঃ সংগৃহীত
বর্তমানে অনেক মানুষই ইউরিক অ্যাসিডজনিত সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষ করে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে। উচ্চ ইউরিক অ্যাসিড শরীরে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যার মধ্যে গাঁটে ব্যথা (গাউট), কিডনির জটিলতা এবং হাড়-জোড়ায় ইনফ্লেমেশন অন্যতম। তবে নিয়মিত কিছু খাবার গ্রহণ করলে খুব সহজেই ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এম এ কাইয়ুম বলেন, “ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমানোর জন্য ওষুধের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন জরুরি। কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো প্রাকৃতিকভাবেই শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বের করে দেয়।”
চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৫টি উপকারী খাবার সম্পর্কে—
১. তুলসী পাতা ও তুলসী চা
তুলসী পাতায় রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। এটি শরীরের ডিটক্সিফিকেশন করে এবং ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১ কাপ তুলসী চা পান করলে উপকার পাওয়া যায়।
২. লেবু পানি
লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড শরীরকে ক্ষারীয় করে তোলে, ফলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে আসে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১ গ্লাস হালকা গরম পানিতে আধা লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
৩. পানি ও হাইড্রেশন
ডা. কাইয়ুমের মতে, "প্রতিদিন অন্তত ২.৫ থেকে ৩ লিটার পানি পান করলে কিডনি ভালোভাবে ইউরিক অ্যাসিড ফিল্টার করে শরীর থেকে বের করে দিতে পারে।" তাই পর্যাপ্ত পানি পানের কোনো বিকল্প নেই।
৪. চেরি ও বেরি জাতীয় ফল
চেরি, ব্লুবেরি ও স্ট্রবেরির মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ ফল গাঁটে ব্যথা কমায় এবং ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা হ্রাসে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
৫. কম ফ্যাটযুক্ত দুধ ও দই
কম ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাদ্য, যেমন স্কিম মিল্ক বা টক দই ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে। এগুলোতে থাকা প্রোটিন শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড নির্গত হতে সহায়তা করে।
বিশেষ পরামর্শ:
উচ্চ প্রোটিনযুক্ত লাল মাংস, অ্যালকোহল ও বেশি চিনি থাকা খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। যেকোনো খাদ্য পরিবর্তনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
ইমরান