
সংগৃহীত
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো, ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষা এবং কোষের সুস্থতা বজায় রাখতে ভিটামিন সি একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সম্প্রতি 'মারথা স্টুয়ার্ট' ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে পুষ্টিবিদদের মতামতের ভিত্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে এমন কিছু ফল, যেগুলো ভিটামিন সি-এর দারুণ উৎস।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের প্রতিদিন ৭৫ মিলিগ্রাম এবং পুরুষদের ৯০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি প্রয়োজন। এই চাহিদা পূরণে নিচের ফলগুলো অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে:
১. পেঁপে
- পেঁপে খেতে শুধু সহজপাচ্যই নয়, বরং এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এক কাপ কাটা পেঁপেতে পাওয়া যায় প্রায় ৯০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। এটি পরিপাকতন্ত্রের জন্যও উপকারী।
২. পেয়ারা
- একটি মাত্র পেয়ারাতে প্রায় ১৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে, যা পুরুষ ও নারীর উভয়ের দৈনিক চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি। এটি শুধু রোগ প্রতিরোধে নয়, বরং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।
৩. লেবু
- প্রতিদিনের রান্নায় ব্যবহৃত সাধারণ একটি উপাদান লেবু, যা অসাধারণ ভিটামিন সি সরবরাহ করে। একটি মাঝারি আকারের লেবুতে প্রায় ৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে। লেবুপানি বা সালাদে এটি নিয়মিত খাওয়া হলে শরীর সতেজ ও রোগমুক্ত থাকে।
৪. কিউই
- সবুজ রঙের ক্ষুদ্র এই ফলটি ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার। একটি মাঝারি আকারের কিউইতে প্রায় ৬০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে, যা নারীদের দৈনিক চাহিদার ৮০% এবং পুরুষদের প্রায় ৬৭% পূরণ করে।
৫. বেল পিপার (ক্যাপসিকাম)
- অনেকেই হয়ত জানেন না যে, ক্যাপসিকাম বা বেল পিপার কমলার চেয়েও বেশি ভিটামিন সি সরবরাহ করে। একটি মাঝারি আকারের কমলা রঙের ক্যাপসিকামে প্রায় ২৩৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যায়, যা দৈনিক চাহিদার অনেক গুণ বেশি।
৬. স্ট্রবেরি
- এক কাপ টাটকা স্ট্রবেরিতে থাকে প্রায় ৯০ মিলিগ্রাম ভিটামিন ছি। এটি শুধু স্বাদের জন্য নয়, বরং স্বাস্থ্য রক্ষার দিক থেকেও দারুণ উপকারী। এটি ত্বকের বিভিন্ন পরিবর্তন রোধেও কার্যকর।
পুষ্টিবিদদেরা পরামর্শ দিচ্ছেনচ, নিয়মিত এই ফলগুলো খাদ্যতালিকায় রাখলে সর্দি-কাশি, সংক্রমণসহ নানা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসে। এছাড়া, ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং আয়রনের শোষণেও সহায়তা করে।
বিশেষ করে গ্রীষ্মকালীন সময় ও বর্ষাকালে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধরে রাখতে এই ফলগুলো খাওয়া অত্যন্ত জরুরি বলে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা।
হ্যাপী