
অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড শরীরে জমে থাকলে তা এক সময় গেঁটে বাত, জয়েন্টে ব্যথা, কিডনির জটিলতা এমনকি হৃদরোগের আশঙ্কাও বাড়িয়ে দিতে পারে। বেশিরভাগ সময়েই এই সমস্যা শরীরে নীরবে বাড়তে থাকে, ফলে প্রাথমিক পর্যায়ে অনেকেই তা টের পান না। তবে কিছু লক্ষণ আছে, যেগুলি দেখা দিলে সতর্ক হওয়া জরুরি। কারণ, এগুলি হতে পারে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড জমে থাকার প্রাথমিক ইঙ্গিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেলে শরীর বিভিন্ন উপায়ে তার সংকেত দিতে শুরু করে। এই সংকেতগুলোকে অগ্রাহ্য করলে পরবর্তীতে তা বড় রোগের কারণ হয়ে উঠতে পারে। নিচে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার এমনই পাঁচটি সাধারণ কিন্তু অনেকটা অজানা লক্ষণের কথা তুলে ধরা হলো।
প্রথমত, হঠাৎ করে পায়ের আঙুলে বা গোড়ালিতে তীব্র ব্যথা ও ফোলা দেখা দিলে, তা হতে পারে গেঁটে বাতে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক ইঙ্গিত। ইউরিক অ্যাসিড জমে গিয়ে জয়েন্টে স্ফীতি তৈরি করে, ফলে সেখানে তীব্র যন্ত্রণা হয়।
দ্বিতীয়ত, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার অনুভূতি ও প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া দেখা দিতে পারে। এটি কিডনিতে ইউরিক অ্যাসিডের স্ফটিক জমার ফলে ঘটে, যা পরবর্তীতে কিডনির পাথরের ঝুঁকি বাড়ায়।
তৃতীয়ত, ত্বকে চুলকানি বা ফুসকুড়ি ইউরিক অ্যাসিড জমে থাকা শরীরের টক্সিক প্রতিক্রিয়ার অংশ হতে পারে। অনেকেই একে সাধারণ অ্যালার্জি বা চুলকানির সমস্যা বলে এড়িয়ে যান, যা বিপজ্জনক হতে পারে।
চতুর্থত, শরীরের মধ্যে সবসময় ক্লান্তিভাব থাকা এবং হালকা ব্যথা অনুভব করাও ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার অদৃশ্য লক্ষণ হতে পারে। এটি মূলত শরীরের কোষে প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা একধরনের অস্থায়ী দুর্বলতা তৈরি করে।
পঞ্চমত, রাতে ঘুমানোর সময় জয়েন্টে টান বা ব্যথা অনুভব করা, বিশেষ করে পায়ের অংশে, এটি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রাথমিক সংকেত হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, এই ধরণের উপসর্গ দেখা দিলে রক্ত পরীক্ষা করে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা যাচাই করা উচিত। সঠিক ডায়েট, পর্যাপ্ত পানি পান এবং নির্দিষ্ট কিছু খাবার এড়িয়ে চলার মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
সূত্র:https://tinyurl.com/34w6z2h3
আফরোজা