
গরমের সময়ে মাছ খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, মাছ প্রোটিনে সমৃদ্ধ ও সাধারণত কম চর্বিযুক্ত হওয়ায় এটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। এটি হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের জন্য উপকারী ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর। এমনকি শিশুদের মধ্যে মাছ খাওয়ার কারণে সহানুভূতিশীল আচরণও দেখা যায়।
সাদা মাছের উপকারিতা:
কড, হ্যাডক, সিব্রিম, সিবাস, প্লেইস ইত্যাদি সাদা মাছ কম ক্যালরিযুক্ত ও চর্বিমুক্ত, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এতে প্রচুর বি-ভিটামিন, সেলেনিয়াম, আয়োডিন ও দস্তা (জিঙ্ক) থাকে। পলক মাছকে সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর সাদা মাছ বলা হয়।
ওমেগা-৩ এর উৎস:
সিব্রিম, সিবাস, টারবট ইত্যাদি সাদা মাছেও সামান্য পরিমাণে ওমেগা-৩ থাকে, কিন্তু চর্বিযুক্ত মাছের তুলনায় অনেক কম।
ওমেগা-৩ ও তেলযুক্ত মাছ:
চর্বিযুক্ত মাছ যেমন ম্যাকারেল, সার্ডিন, স্যামন, ট্রাউট ইত্যাদিতে প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা হৃদরোগ ও স্ট্রোক প্রতিরোধে সহায়ক। এগুলো রক্তচাপ কমায়, রক্তনালির স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে।
ভিটামিন ডি-এর চমৎকার উৎস:
তেলযুক্ত মাছ ভিটামিন ডি-এর ভালো উৎস। গ্রিল করা স্যামনে থাকে ১৩.৩ মাইক্রোগ্রাম, ট্রাউটে ১২.৭ মাইক্রোগ্রাম, ম্যাকারেলে ১২.৩ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ডি।
সবচেয়ে উপকারী তেলযুক্ত মাছ:
হেরিং মাছকে সেরা বলা হয়, কারণ এতে ওমেগা-৩, প্রোটিন, ভিটামিন ডি ও বি১২ ছাড়াও গাট হেলথের জন্য উপকারী গাঁজনজাত বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
কিভাবে খাওয়া সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর?
সাদা মাছ: স্টিম, গ্রিল বা টমেটো-ভিত্তিক সস দিয়ে রান্না করা ভালো।
তেলযুক্ত মাছ: গ্রিল করে, লেবুর রস ও সয়া সস দিয়ে, সঙ্গে হোলউইট কুসকুস ও সালাদ খেতে পারেন।
কতবার খাওয়া উচিত?
সপ্তাহে অন্তত ২ বার মাছ খাওয়া উচিত, যার একটি তেলযুক্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়। তবে গর্ভবতী বা গর্ভধারণে ইচ্ছুক নারীদের ও শিশুরা কিছু নির্দিষ্ট মাছ যেমন হাঙ্গর, সোর্ডফিশ, মারলিন এড়িয়ে চলবেন।
মুমু