ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

পেট না কেটে মহিলাদের জন্য স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি

প্রকাশিত: ২৩:৪০, ৩ নভেম্বর ২০২০

পেট না কেটে মহিলাদের জন্য স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি

মহিলাদের স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিকে টিউবেকটমি বা লাইগেশন বলা হয়ে থাকে। এই পদ্ধতিতে অপারেশনের মাধ্যমে মহিলাদের ডিম্ববাহী নালিটি কেটে বেঁধে দেয়া হয়। ফলে স্বামীর শুক্রাণু স্ত্রীর ডিম্বানুর সঙ্গে মিলিত হতে পারে না এবং বাচ্চা তেরি হতে পারে না। প্রচলিত পদ্ধতিতে নাভীর নিচে তলপেটে অপারেশনের জায়গাটুকু অবস করে দুই ইঞ্চির মতো কেটে এই পদ্ধতি সম্পন্ন করা হয়। অপারেশনের তিন চার ঘণ্টা পর বাসায় ফিরে যাওয়া যায়। বর্তমানে সর্বাধুনিক ল্যাপারোস্কপির মাধ্যমে শুধু নাভিতে একটি ছোট ছিদ্র করে ডিম্ববাহী নালিটি রাবারের একটি ব্যান্ড বা একটি ক্লিপ দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। এই পদ্ধতিতে কোন কাটাছেঁড়া বা সেলাইয়ের প্রয়োজন হয় না বলে পেটে কোন দাগও থাকে না। পদ্ধতি গ্রহণ করার পর পরই বাসায় যাওয়া যায়। কোন বিশ্রামের প্রয়োজন হয় না। দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতির কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এসব সুবিধার কারণে ল্যাপারোস্কপির মাধ্যমে মহিলাদের স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি পৃথিবীব্যাপী জনপ্রিয়। যে সব মহিলার কাক্সিক্ষতসংখ্যক সন্তান আছে, ভবিষ্যতে আর মা হতে চান না তাদের জন্য এটি একটি পছন্দনীয় স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। মনে রাখতে হবে বেশি বয়সের মায়েরা বিশেষ করে পঁয়ত্রিশোর্ধ বয়সের মায়েরা, যাদের উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ বা ডায়াবেটিস আছে অথবা বংশে এসব রোগের ইতিহাস আছে তাদের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ঝুঁকিপূর্ণ। কাজেই এই ধরনের মায়েরা যদি আর বাচ্চা না নিতে চান তাহলে তাদের জন্য টিউবেকটমি সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি। ডাঃ রেজাউল করিম কাজল টিম লিডার পরিবার পরিকল্পনা সেবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ফোন : ০১৯৭৯০০০০১১
×