ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২

’কেন এতো মায়া মায়া লাগে’ গানেই সবাইকে মায়া লাগিয়েছেন দীনা

সোহাগ মনি, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার,

প্রকাশিত: ০০:০৩, ৩০ জুলাই ২০২৫

’কেন এতো মায়া মায়া লাগে’ গানেই সবাইকে মায়া লাগিয়েছেন দীনা

‘কেন এতো এতো মায়া মায়া লাগে’ গানেই যেন সবাইকে মায়া লাগিয়েছেন দীনা মন্ডল। পেয়েছেন অজস্র ভালোবাসা। এখন প্রায় সব শিল্পীর মুখে মুখেই এই গান। তবে সবার আগে গানটিকে পরিচিত করেন তুলেন এই শিল্পী। তার পরিচয় জানতে কথা হয় তার সঙ্গে। আর কেমন করেই বা গানে আসা, কি করেই অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা তার সবই জানা হবে আজকে।

দিনাজপুরে জন্ম এই বাউল শিল্পীর। জেলার নামের সঙ্গে নিজের নাম দীনা! এ যেন এক অদ্ভূত মিল। ছোট বেলা থেকেই সুরের প্রতি ঝোক ছিল তার। সময় পেলেই সুরের ছন্দে মেতে উঠতেন।
 
সংগীতের আবহেই বেড়ে ওঠা দীনার। পরিবার থেকেই গান শেখা তার। বাউলের সঙ্গে শিখেছেন নজরুল সংগীতও।
 
লালন গানের গুরুমুখী বিদ্যায় দীনার ওস্তাদ বাউল শাহাবুল। তার কাছ থেকেই গানের দীক্ষা নেয়া। দীনার দাদাগুরু হলেন বাংলার প্রখ্যাত শিল্পী শফি মন্ডল। চলার পথে এই শিল্পীর স্নেহ ও ভালোবাসা পেয়েছেন দীনা। আর এতেই চলার পথ হয় আরো প্রসারিত।

তার গাওয়া গানের মধ্যে ‘কেন এতো মায়া মায়া লাগে, যে মারলো এই বুকে ছুরি, তার পেছনে কেন ঘুরি, এখনো সেই বৃন্দাবনে, যদি তরীতে বাসনা জাগে, সুখে থাকো সুজন বন্ধু, জীবনের ঐ পারে যদি আরেক জনম থাকে, শ্যাম তুমি লীলা বুঝো মন বুঝো না’ গানগুলো পেয়েছে সর্বোচ্চ জনপ্রিয়তা।
 
শুরুটা অবশ্য খুব বেশি দিনের না দীনার। পেশাদারিত্বের সঙ্গে গানের শুরু ২০২০ সাল থেকে। তবে সে যাত্রা অনেকটা আটকে দেয় করোনা। তবুও থেমে থাকেননি তিনি। অনলাইনে করে গেছেন গানের আসর। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ছন্দে ফেরান নিজেকে।
 
লালনগীতি, পল্লীগীতি, বাউল, মলয়া, রাধা-কৃষ্ণের প্রেম লীলা, বিচ্ছেদসহ সব ধরণের গানই সমান তালে গান এই শিল্পী।  
 
গানের প্রসঙ্গে কথা হয় দীনা মন্ডলের সঙ্গে। এই শিল্পী বলেন, দর্শক-শ্রোতাদের ভালোবাসার কারণেই আজকে আমি দীনা। দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগী আমার গান শুনেন এবং ভালোবাসা দেখান। পিছিয়ে যাওয়ার অনেক সুযোগ ছিল জীবনে কিন্তু অনেক বাধা আসলেও গান ছাড়িনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমার কণ্ঠে সুর থাকবে।

 
তিনি আরও বলেন, কেন এতো মায়া মায়া লাগে গানটিই আমার জীবনের মোড় পাল্টে দেয়। অনেক সাড়া পেয়েছি এই গানে দিয়ে। দর্শক-শ্রোতাদের মাঝে জায়গা করে নিতে পেরেছি। এটাই আমার স্বার্থকতা।  দেশের মানুষ আমাকে ভালোবাসছে, এরচাইতে বড় পাওনা শিল্পীর জীবনে আর কিছুই থাকতে পারেনা। কোনো একদিন বিশ্ব দরবারে বাংলার সুরকে ছড়িয়ে দিতে চাই।

Jahan

×