
প্রাঙ্গণেমোর নাট্যদলের দর্শকনন্দিত প্রযোজনা ‘শেষের কবিতা’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী সৃষ্টি ‘শেষের কবিতা’ উপন্যাসের নির্যাসটুকু নিয়ে এর নাট্যরূপ দিয়েছেন অনন্ত হিরা। নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন নূনা আফরোজ। প্রাঙ্গণেমোর নাট্যদলের ৬ষ্ঠ এ প্রযোজনা মঞ্চায়ন হবে নাটক সরণি বেইলি রোডের মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায়। নাটক সম্পর্কে নির্দেশক জানান, শেষের কবিতা নাটকটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৬৭ বছর বয়সে লেখা বহুলপঠিত একটি বিখ্যাত প্রেমের উপন্যাস শেষের কবিতার নাট্যরূপ। শিলং পাহাড়ের পথে বিপরীতমুখী দুটি গাড়ির পরস্পর আকস্মিক দুর্ঘটনায় পরিচয় হয় বিলেত ফেরত ব্যারিস্টার অমিত রায় ও লাবণ্যর। নির্জন পাহাড়ের সবুজ অরণ্য ঘেরা দুর্লভ অবসরে দু’জন দু’জনকে দেখে মুগ্ধ হয়। যার পরিণতি ভালোবাসায়। যে লাবণ্য কেবলই বই পড়বে আর পাস করবে, এমনি করেই তার জীবন কাটবে ভেবেছিল সেই লাবণ্য হঠাৎ আবিস্কার করল সেও ভালোবাসতে পারে। আর অমিত তো মেয়েদের কাছে সোনার রঙের দিগন্ত রেখা, ধরা দিয়েই আছে, তবু ধরা দেয় না। রুচির তৃষ্ণা মিটিয়ে কত সুন্দরী মেয়েদের পাশ কাটিয়ে এসেছে এতকাল। সেই অমিত বন্দি হলো লাবণ্যর প্রেমে। অমিত লাবণ্যকে বিয়ে করতে অস্থির হয়ে উঠে। কিন্তু লাবণ্যর মন তাতে সায় দেয় না। অনেক তর্ক-বিতর্ক, মান-অভিমানের পর অমিত লাবণ্যর বিয়েটা যখন অনিশ্চয়তার দোলাচলে দুলতে দুলতে সিদ্ধান্তে পৌঁছায়, ঠিক সেই সময় অমিতের বন্ধু কেতকী শিলং গিয়ে উপস্থিত হয়। কেতকীর সঙ্গে বিলেতে থাকার সময় অমিতের একটা গভীর মুগ্ধতার সম্পর্ক ছিল এবং সে সময়টাতে অমিত কেতকীকে ভালোবেসেই একটি আংটি পরিয়েছিল। নাটকের অভিনয়শিল্পীরা হলেন অনন্ত হিরা, নূনা আফরোজ, ইউসুফ রাসেল, সাহেদ সরদার, গুলশান বহ্নি, নাসরীন মিশু, বাঁধন সরকার, তমা হোসেন, সীমান্ত আমীন, তন্বী ইসলাম মিষ্টি, ফাহিম মুনতাসির, নাঈম হাসান ও ফারজু ফারহান।
প্যানেল