ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

৮ বছরের যাত্রায় এতো বাজে অভিজ্ঞতার শিকার এর আগে হইনি : তাসরিফ খান

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৪৬, ১১ নভেম্বর ২০২৪; আপডেট: ২০:৪৯, ১১ নভেম্বর ২০২৪

৮ বছরের যাত্রায় এতো বাজে অভিজ্ঞতার শিকার এর আগে হইনি : তাসরিফ খান

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে কুঁড়েঘর’ ব্যান্ডের সদস্যরা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন ‘কুঁড়েঘর’ ব্যান্ডের প্রধান ভোকাল তাসরিফ খান।পাশাপাশি বিভিন্ন ইস্যুতে প্রায়ই ফেসবুকে লেখালেখি করেন তিনি। এবার নিজের দল ‘কুঁড়েঘর’ নিয়ে বাজে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন এই শিল্পী।

 

মূলত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি জেলাভিত্তিক ছাত্র কল্যাণ সমিতির আমন্ত্রণে কনসার্টে পারফর্ম করতে গিয়ে খারাপ এক অভিজ্ঞতার মুখে পড়েন তাসরিফ ও তার দল ‘কুঁড়েঘর’। তা তিনি দীর্ঘ এক পোস্টের মাধ্যেমে শেয়ার করেছেন। 

তাসরিফ লেখেন, রাত ৩টা বেজে ৪ মিনিট, জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে আমার সমস্ত শ্রোতাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে লেখা শুরু করছি। মাঝে মাঝে কথা বলা উচিত, কথা বলতে হয়। কুঁড়েঘর ব্যান্ডের ৮ বছরের যাত্রায় আজকের রাতের মতো বাজে অভিজ্ঞতার শিকার আমরা এর আগে হইনি।

মূলত এই কনসার্ট এর আয়োজক ছিলেন " মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি ", জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। প্রথমে আমাদের স্টেইজ টাইম জানানো হয় ১০ তারিখ রাত ৮ টায়। শো এর আগের দিন আয়োজক রা আমাদের বলেন আমরা স্টেইজে উঠবো রাত ১১ টায়। উনাদের জানানো সময় অনুয়ায়ি আমরা রাত ১০ টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছাই।

এসেই শুনি উনাদের প্রোগ্রামে মিস ম্যানেজমেন্ট হচ্ছে, আমাদের কে আরও পরে উঠানো হবে । সময় গড়াতে গড়াতে রাত ৩ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে আমরা জানতে পারি তাদের মিস ম্যানেজমেন্ট এর জন্য আমাদের পারফর্ম করা হচ্ছে না।

এখানে কয়েকটা ব্যাপার ঘটলো!

আপনারা যে শুধু একটা ব্যান্ড কে ৫ ঘন্টা অপেক্ষা করিয়ে পারফর্ম করতে দেন নি ব্যাপারটা তা নয়, আপনারা সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছেন আমাদের শ্রোতাদের। তাদের অনেকেই এই পোস্ট না দেখলে হয়তো এটাও জানতো না যে কুড়েঘর এসেছিল এবং তাদের মতোই অপেক্ষা করে ছিল তাদের গান শোনাতে!!

বাংলাদেশের ব্যান্ড সিনারিওতে এই গল্প কোন নতুন গল্প নয়। বাস্তবতা হচ্ছে সকল ব্যান্ড প্রায় সব কনসার্টেই সময় মতো পৌঁছে ঘন্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে পরে পারফর্ম করে এবং কেউ এটা নিয়ে কখনও কমপ্লেইন করে না। আমরা যারা ব্যান্ড করে পারফর্ম করে বেড়াই, কেবল আমরাই জানি একটা কনসার্ট এর গুরুত্ব আমাদের কাছে কতটুকু রয়েছে কিংবা প্রতি শো এর পেছনে আমাদের কত গল্প কত আবেগ জড়িয়ে থাকে।

যাই হোক!

আজকে যারা আমাদের শ্রোতা হয়ে অপেক্ষা করেছেন, আপনারা আমাদের ক্ষমা করবেন। জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পরম ভালোবাসার একটি প্রতিষ্ঠান। নিশ্চই আবার দেখা হয়ে যাবে আপনাদের সাথে।

আপনাদের অবগতির জন্য সন্মানের সাথে জানাতে চাই, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের, "মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি" এর আয়োজিত কোন কনসার্ট এ কুড়েঘর ব্যান্ড আর কখনো অংশগ্রহণ করবে না।

এমএম

×