ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১

দেহদান করে দুশ্চিন্তায় ঋতুপর্ণা

প্রকাশিত: ১১:০৮, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দেহদান করে দুশ্চিন্তায় ঋতুপর্ণা

অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।

মরণোত্তর দেহদান করেছেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তবে এখন বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন এই টালিউড অভিনেত্রী।

কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের লাশকাটা ঘরে নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। হাসপাতালটিতে এক চিকিৎসক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। সেখানকার গণমাধ্যম জানিয়েছে, সঞ্জয় রায় নামে পুলিশের এক সোর্সকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার ফোনে পাওয়া গেছে মরদেহের সঙ্গে সঙ্গমের ভিডিও। 

জানা গেছে, গত সাত বছরে রাজ্যের একাধিক সরকারি হাসপাতালে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি করে অন্তত ২০০ কোটি টাকা হাতিয়েছে একটি চক্র। এসব তথ্য বেরিয়ে আসার পর অনেকের মতো দুশ্চিন্তায় পড়েছেন নায়িকা ঋতুপর্ণ।

চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণার জন্য মরণোত্তর দেহদান করেন অনেকে। একই উদ্দেশ্যে নিজের দেহ দান করেছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। কিন্তু সম্প্রতি বেরিয়ে আসা এসব খবরে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এই অভিনেত্রী? 

এ প্রসঙ্গে ভারতীয় এক গণমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘আশা করি আমার মৃত্যুর আগে এসব অরাজকতা কমবে। মরণোত্তর দেহদান নিয়ে অনেকে বিভ্রান্তিতে ভোগেন। কিন্তু তার মনে এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন ছিল না। পরিবারকে দেখেই তিনি এ কাজে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।’

জানা যায়, প্রায় এক দশক আগে মরণোত্তর দেহদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ঋতুপর্ণ। আরজি করের ঘটনাও তার সিদ্ধান্তে চিন্তা ছড়াতে পারেনি। স্বাভাবিকভাবেই তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। ঋতুপর্ণা বলেন, ‘মৃত্যুর পরও যদি সমাজের কোনো উপকারে আসতে পারি, সেটা ভেবে আমার নিজেরই ভালো লাগছে।’

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমে হয়রানির শিকার ঋতুপর্ণা। এমনকি প্রতিবাদে শাঁখা বাজানো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপহাসের শিকার হয়েছেন তিনি। সেসব নিয়ে মন খারাপ এই অভিনেত্রীর। শুটিং না থাকলে সাধারণ কলকাতায় পাওয়া যায় না অভিনেত্রীকে। যথারীতি এখনও ভারতের বাইরে অবস্থান করছেন তিনি। ব্যবসাসূত্রে তার স্বামী থাকেন সিঙ্গাপুরে, মেয়েও পড়ালেখা করেন দেশটিতে। অন্যদিকে ছেলে পড়ালেখা করছে যুক্তরাষ্ট্রে।

এম হাসান

×