ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বড় পর্দায় ফের শরৎচন্দ্রের ‘দত্তা’

সংস্কৃতি ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:১৫, ৫ জুন ২০২৩

বড় পর্দায় ফের শরৎচন্দ্রের ‘দত্তা’

‘দত্তা’ চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্য

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাস ‘দত্তা’ নিয়ে এর আগে দুইবার নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র। ১৯৫১ এবং ১৯৭৬ সালে ‘দত্তা’র চলচ্চিত্রায়ন করা হয়। ১৯৫১ সালে দত্তায় সুনন্দা বন্দোপাধ্যায় হয়েছিলেন ‘বিজয়া’। আর ছিয়াত্তর সালে এই চরিত্রটি করেন কিংবদন্তী সুচিত্রা  সেন।
দীর্ঘ ৪৭ বছর পর শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাস ‘দত্তা’  ফের আসছে পর্দায়। আর ওই সিনেমায় বিজয়া চরিত্রটি করেছেন কলকাতার নায়িকা ঋতুপর্ণা  সেনগুপ্ত। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, এবারে দত্তা পরিচালনা করেছেন নির্মাতা নির্মল চক্রবর্তী। যা মুক্তি পাচ্ছে ১৬ জুন।
নির্মল জানিয়েছেন, ক্ল্যাসিক সাহিত্য নিয়ে কাজ করতে তিনি পছন্দ করেন। কারণ এ ধরনের সিনেমায় আখ্যান  তৈরির যথেষ্ট সুযোগ থাকে। নির্মাতা আরও জানিয়েছেন, সিনেমার প্রপস এবং কস্টিউমের দিকে বিশেষ নজর  দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের দর্শকের জন্য সংলাপও সহজ করা হয়েছে। ঋতুপর্ণার কাজের প্রশংসা করে নির্মল বলেন, ঋতুপর্ণা  সেনগুপ্ত বিজয়ার চরিত্রে খুব ভালোভাবে মিশে  গেছেন। বিজয়া একজন সুন্দরী, স্মার্ট, আবেগপ্রবণ, দয়ালু নারী, আবার মাঝেমধ্যে যাকে রূঢ় ব্যবহার করতেও  দেখা যায়। সিনেমায় উপন্যাসের কাহিনীর  কোনো অদলবদল আনা হয়নি দাবি পরিচালকের। সিনেমার শূটিং হয়েছে  বোলপুর এবং  বেলগছিয়া রাজবাড়িতে।
মহানায়িকার চরিত্র করার উপলব্ধি  কেমন তা জানিয়ে ঋতুপর্ণা বলেন, আশা করি দর্শক আগের দুই বিজয়ার সঙ্গে তুলনা টানবেন না। এই চরিত্রে কাজ করতে  পেরে আমি খুশি। উপন্যাস অবলম্বনে  তৈরি সিনেমা সব সময়ই সমৃদ্ধ হয়ে থাকে।
এই সিনেমায় বিলাস হয়েছেন সাহেব চট্টোপাধ্যায়। নরেন হয়েছেন জয়  সেনগুপ্ত। আর বিলাসের বাবা রাসবিহারির চরিত্রটি করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী।
২০১৯ সালে ‘দত্তা’ নিনেমা নির্মাণ শুরুর পর পরিচালকের পরিকল্পনা ছিল ওই বছরেই মুক্তি  দেওয়ার। কারণ ওই বছরটি ছিল এই উপন্যাসের শতবর্ষপূর্তি। কিন্তু সিনেমার কাজ পিছিয়ে যায়।
বাংলাদেশের নায়ক ফেরদৌস আহমেদের প্রথমে বিলাস চরিত্রটি করার কথা ছিল। ফেরদৌস সিনেমার কিছু অংশের শূটিংও করেছিলেন। কিন্তু ২০১৯ সালে ভারতের  লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশ  নেওয়ায় ভিসা বাতিল হয়  ফেরদৌসের।  দেশে ফিরতে বাধ্য হন তিনি। ফলে  সেখানকার সিনেমায় কাজের সুযোগ হারান তিনি।
নির্মল বলেন, আমি ফেরদৌসের অপেক্ষায় শূটিং ছয়মাস পিছিয়েও দিয়েছিলাম। পরে যখন  বোঝা গেল ফেরদৌস আর আসতে পারবেন না, তার জায়গায় সাহেবকে  নেওয়া হয়।  ফোরদৌসের শূটিং করা দৃশ্যের নতুন করে করতে হয়। অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। কিছুদিন আগে ইউটিউবে ‘দত্তা’র  ট্রেইলার প্রকাশ হয়েছে।

×