ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

কলাকেন্দ্রে অনিক মুস্তাফার আলোকচিত্র প্রদর্শনী

সংস্কৃতি প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩:৪৩, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

কলাকেন্দ্রে অনিক মুস্তাফার আলোকচিত্র প্রদর্শনী

লালমাটিয়ার কলাকেন্দ্র গ্যালারিতে চলমান ‘দ্য ট্রানসিয়েন্ট’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর একটি ছবি

আলো-ছায়ার মায়াবি খেলায় উঠে এসেছে ভিন্ন এক জীবনের গল্প। সেই জীবনের সমান্তরালে ক্যামেরাবন্দী হয়েছে বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি। আর  বিচিত্র সেই  সংস্কৃতির সন্ধানে আলোকচিত্রী অনিক মুস্তাফা আনোয়ার ছুটে গেছেন ভারতের রাজস্থানের পুষ্কর নাম স্থানে। তার ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দী হয়েছে সেখানকার এক রকমারি মেলা। ওই মেলার সূত্র ধরে  বর্ণিল দৃশ্যপটের দেখা মেলে। মন্দিরের চারপাশ ঘিরে উঁকি দেয় সারি সারি তাঁবু।

সেগুলোর আশপাশে ঘুরে বেড়ায় কিংবা সওয়ারিকে নামিয়ে দিয়ে বিশ্রাম নেয় উটের দল। উটের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সওয়ারির মন রাঙাতে রঙ্গিলা পোশাকে বিশেষ ভঙ্গিমায় নেচে বেড়ায় রাজস্থানী নারী। এমন উচ্ছ্বাসময় ছবির উল্টোদিকে নজরে পড়ে সাধু-সন্ন্যাসীর  জীবনচিত্র। সেই সঙ্গে এই আলোকচিত্রীর ক্যামেরায় ধরা দিয়েছে রাজস্থানের ঐতিহ্যবাহী খাবার, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানসহ ওই জনগোষ্ঠীর চিরায়ত সংস্কৃতির নানা অনুষঙ্গ। সেসব ছবি নিয়ে লালমাটিয়ার কলাকেন্দ্র গ্যালারিতে চলছে প্রদর্শনী। দ্য ট্রানসিয়েন্ট শিরোনামের প্রদর্শনীটির আলোকচিত্র বিন্যাস করেছেন চিত্রশিল্পী ওয়াকিলুর রহমান।
অনিক মুস্তাফা আনোয়ারের  পাঁচটি শিল্প প্রকল্পের তোলা ছবি নিয়ে সাজানো হয়েছে এই শিল্পায়োজন।  সেই সুবাদে মিলেমিশে একাকার হয়েছে ভিন্ন সংস্কৃতি ও সময়। ২০১৭ সালে রাজস্থানের পুষ্কর মেলায় তোলা ছবির সঙ্গে  ঠাঁই পেয়েছে আরও চারটি বিষয়ে তোলা ছবি।  যেখানে রাজস্থানের সঙ্গে সম্¥িলন ঘটেছে শহর ঢাকার। ‘আরবান জাঙ্গাল’ শীর্ষক প্রকল্পের ছবিগুলোর বিষয়বস্তু ২০১৮ সালে ঢাকার বিভিন্ন বিনোদন পার্কে আসা দর্শনার্থীদের আনন্দমুহূর্ত।

২০১৭ সালে ধারণকৃত দ্য সেলুলয়েড স্টোরি সিরিজের কুড়িটি ছবিতে উঠে এসেছে একসময় এদেশের আপামর মানুষের প্রধান বিনোদনকেন্দ্র সিনেমা হলের  ভগ্নদশা।  ২০১৯ সালে  ক্রস কালচার ফেলোশিপ  পেয়ে  এই  আলোকচিত্রী পাড়ি জমান জার্মানিতে। সেখানকার জীবন ও জনপদের চিত্র উঠে এসেছে বার্লিন সিরিজের ছবিতে। ‘রিমেমব্রেন্স, ২০১৮’ শীর্ষক সিরিজে ধরা দিয়েছে আলোকচিত্রীর নিজ জীবনের নানা স্মৃতিচিহ্ন। সেখানে দেখা মেলে  শিল্পীর  দাদুর রেখে যাওয়া চশমা থেকে তসবিহ, সুরমাদানি, একজোড়া চুড়ি, তিব্বত পমেটসহ ব্যবহার্য নানা পণ্য।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর সূচনা হওয়া প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত।  প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত  আটটা  পর্যন্ত দর্শনার্থীদের  জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

×