
অনলাইন ডেস্ক ॥ ‘বাবা জানো? আমাদের বাসায় যে ময়না পাখিটা আছে না, ও না আজকে আমার নাম ধরে ডেকেছে। আর এই কথাটা না মা কিচ্ছুতেই বিশ্বাস করছে না। কেমন লাগে বল তো বাবা? আমি কি তাহলে ভুল শুনেছি? তুমি আজকে বাসায় এসে মাকে অবশ্যই বকে দেবে। আচ্ছা বাবা রাখি তুমি তাড়াতাড়ি চলে এসো কিন্তু।’
একটি মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনচিত্রের মাধ্যমে আলোচিত সেই ছোট্ট শিশুটি এখন কিশোরী। তিন বছর বয়সী সেই ছোট্ট মেয়েটি এখন ক্লাস সেভেনের ছাত্রী। বিজ্ঞাপনের ধারাবাহিকতায় মাত্র সাড়ে তিন বছর বয়সে চলচ্চিত্র অভিনয়ে এসে চমকে দেয় সবাইকে। স্বল্প সময়ের মধ্যেই দীঘি অভিনয় করে ৩৬টি চলচ্চিত্রে। শিশুশিল্পী হিসেবে অর্জন করে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
প্রার্থনা ফারদিন দীঘির গল্পই বলছি। গত ৫ মে বাংলাদেশ চলচ্চিত্রশিল্পী সমিতির নির্বাচনে বাবা সুব্রতর সঙ্গে এফডিসিতে গিয়েছিল দীঘি। ভোটকেন্দ্রে দীঘিকে দেখে অনেকেই অবাক হয়ে গেছে। সেই ছোট্ট দীঘি এখন কত বড় হয়ে গেছে! এমন মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
দীঘির বাবা সুব্রত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। ৩১০ ভোট পেয়ে তিনি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। বাবার এই জয়ে দারুণ খুশি।
এদিকে ভোটকেন্দ্রে দীঘির সঙ্গে তোলা একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে চিত্রনায়িকা অমৃতা খান বলেন, ‘আমাদের ছোট্ট দীঘিটা দেখতে দেখতে কত বড় হয়ে গেছে।’
অমৃতার মতো আরও অনেকেই সেদিন দীঘিকে দেখে এমন মন্তব্য করেছেন। দীঘির সঙ্গে ছবি তুলেছেন। ভোটকেন্দ্রে দীঘি যেন হয়ে উঠিছিলেন তারকাদেরও তারকা।