
ছবি: প্রধান চার অভিযুক্ত আসামী
নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলায় বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে সাবেক এমপি সাজ্জাদুল হাসান এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রাব্বানী জব্বারসহ ১৮৬ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়েছে। বুধবার রাতে খালিয়াজুরী সদর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মজলু মিয়া বাদী হয়ে খালিয়াজুরী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারায় দায়ের করা মামলাটির অন্যান্য আসামীদের মধ্যে রয়েছেন: উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট অজিত বরণ সরকার, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুজ্জামান সিদ্দিকী শোয়েব, খালিয়াজুরী সদর ইউনিযনের সাবেক চেয়ারম্যান ছানোয়ারুজ্জামান জোসেফ প্রমুখ। এছাড়া দুজন স্থানীয় সাংবাদিককেও আসামী করা হয়েছে। তারা হলেন: দৈনিক যুগান্তরের উপজেলা প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম তালুকদার ও দৈনিক সকালের সময়ের প্রতিনিধি মৃণাল কান্তি দেব। এর বাইরে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে আরও ২০০-২৫০ জনকে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ১৬ জুলাই দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খালিয়াজুরী উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে দলটির উপজেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভা চলছিল। এ সময় আসামীরা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জড়ো হয়ে মিছিল বের করেন। মিছিলকারীরা ইটপাটকেল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালান। তারা ১৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও তিনটি অটোরিক্সায় পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এছাড়া সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ছাড়াও ঘটনাস্থলের পাশে থাকা জনৈক মিজানুর রহমানের স্টুডিও ও ফাটোস্ট্যাটের দোকান ভাঙচুর করেন।
খালিয়াজুরী থানার ওসি মকবুল হোসেন বলেন, এ মামলায় উল্লিখিত আসামীদের মধ্যে কয়েকজন ইতিপূর্বে অন্য মামলায় গ্রেফতার হয়ে হাজতে আছেন। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম তালুকদার ও মৃণাল কান্দি দেব বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক দলে সম্পৃক্ত নই। আমাদেরকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে অযথা এ মামলায় জড়ানো হয়েছে।’
নোভা